বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে কনসার্ট চলাকালে মেহেদী হাসান (২৬) নামের একজনকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। জনপ্রিয় ব্র্যান্ড অ্যাশেজের কনসার্টে মানুষের ব্যাপক সমাগমে দর্শক সারিতে বাকবিতন্ডার পরই ঘটে হত্যাকান্ড।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত নয়টার দিকে বগুড়া শহরের সেউজগড়ী ক্যাল্যার বাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী হাসান পেশায় থাই ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রীর সহযোগী ছিল। সে শহরের মালগ্রাম চাপড়পাড়া (আদর্শপাড়া) এলাকার রাজমিস্ত্রী রফিকুল ইসলামের একমাত্র ছেলে।
জানা গেছে, সরকারি আজিজুল হক কলেজের দর্শন বিভাগের পুনর্মিলনীতে ক্যাম্পাসে কনসার্টের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। কনসার্টে গান পরিবেশন করে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড অ্যাশেজ। দর্শকের ভিড়ে ধাক্কা লাগলে কয়েকজন কিশোর ও যুবকদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ায় মেহেদী। সে অনুষ্ঠান দেখে স্টেশন রোড দিয়ে মালগ্রামের বাসায় ফিরছিল। পথিমধ্যে তার ওপর হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। মেহেদীর পেট দিয়ে নাড়িভূড়ি বের হয়ে গেছে। স্থানীয়রা লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মেহেদীর চাচাতো ভাই রিয়াজুদ্দিন জানায়, তারা কলেজের কনসার্ট দেখে বাসায় ফিরছিল। কলেজ গেটের বাইরে কয়েকজন এসে হঠাতই মেহেদীর সঙ্গে বাকবিতন্ডা করে। ছুরিকাঘাত করে তারা পালিয়ে যায়।
মেহেদীর সঙ্গী রিয়াজ জানায়, তারা আটজন কলেজে কানসার্ট দেখতে যায়। কনসার্ট চলাকালে কলেজের দশতলা ভবনের একটু দূরে গিয়ে মেহেদীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাকে না পেয়ে একজনকে খোঁজ করতে পাঠানো হয়। সে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে বেশ কয়েকজন একত্রিত হয়ে মেহেদীকে মারপিট করছে। সেখানে অনেক লোকজন সমবেত হয়েছে। মেহেদীর সঙ্গে কারো কোন বিবাদ ছিল না।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে এবং হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :