রংপুরের মিঠাপুকুরে রাতের আঁধারে এক কৃষকের ৫০০টি আম গাছ ও ১০০টি মালটা গাছ কেটে সাবাড় করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রেজাউল ইসলাম (৫৭) উপজেলার ধোপাকল পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত. আশরাফ আলীর ছেলে। তিনি এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, একে অপরের সাথে বিরোধ বা সমস্যা থাকতেই পারে, তার সমাধানও আছে। কিন্তু গাছের সাথে এ কেমন নির্মমতা! গাছের কি অপরাধ? বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে আর কেউ গাছের সাথে শত্রুতা করার সাহস না পায়।
ভুক্তভোগী কৃষক রেজাউল ইসলাম থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ধোপাকল পূর্বপাড়া গ্রামের মাহাবুল ও আব্বাস আলীর সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাহাবুল ও আব্বাস আলী একই গ্রামের আরাফাত, হাফিজুর, মোকছেদুল ও রমজানসহ ১৫-২০ জনকে সাথে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাগানে প্রবেশ করেন এবং বাগানে থাকা ৫০০টি আম গাছ ও ১০০টি মালটা গাছ কেটে ফেলেন। এতে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলাম বলেন, মাহাবুল ও আব্বাস আলীর সাথে জমি-জমা সংক্রান্তের জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে মামলা হলেও আমাদের পক্ষে রায় আসে। তারপর থেকে তারা আমাদের বিভিন্ন ধরনেনদর হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে গত শনিবার রাতে তারা গুন্ডা বাহিনী নিয়ে এসে বাগানে দেয়া জিআই তারের বেড়া কেটে ভিতরে প্রবেশ করে আমার আম ও মালটার বাগান কেটে সাবাড় করে ফেলে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
স্থানীয় মোশাররফ হোসেন বলেন, রাতে হঠাৎ শব্দ শুনে বাইরে বের হয়ে দেখি মাহাবুল ও আব্বাসসহ বেশ কয়েকজন বাগানের সব গাছ কেটে ফেলে চলে যাচ্ছে। তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহাবুল ইসলাম ও আব্বাস আলীর সাথে এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :