বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম

জামালপুর এম এ রশিদ হাসপাতাল

ভুল সিজারে প্রসূতির মৃত্যু, সুস্থ রয়েছে নবজাতক

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম

ভুল সিজারে প্রসূতির মৃত্যু, সুস্থ রয়েছে নবজাতক

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জামালপুর ভুল সিজারের কারণে হাসি বেগম (৩০) নামে এক প্রসূতি নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার স্বজনরা। শুক্রবার রাতে শহরের সর্দারপাড়ায় অবস্থিত এম এ রশিদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। তবে নবজাতক শিশুটি এখন পর্যন্ত সুস্থ রয়েছে। নিহত হাসি খাতুন শরিফপুর ইউনিয়নের শীতলকুর্শা গ্রামের নূরুল মল্লিকের স্ত্রী। নুরুল মল্লিক ও হাসি দম্পতির আরাফাত (৭) ও নুন মনি (৫) নামে আরও দুটি সন্তান রয়েছে।

নিহতের স্বজনরা জানায়, হাসি বেগমকে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৫ টার দিকে এম এ রশিদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর স্ত্রী-প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন অধ্যাপক ডা. রুমানা আরমানের তত্বাবধানে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয় তাকে। প্রায় দুই ঘন্টার অপারেশন শেষে রাত সাড়ে ৯ টায় রোগীর অবস্থা খারাপ ও রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে রক্ত চাওয়া হয় রোগীর স্বজনদের কাছে। এরপর একে একে ১৪ ব্যাগ রক্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রাত সাড়ে ৩টার দিকে রোগীর অবস্থা মুমূর্ষ বলে আইসিইউতে নিয়ে যায় তারা। কিছুক্ষণ আইসিইউতে রাখার পরে শনিবার ভোর রাতে হাসি বেগমকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, রাত ৯ টায় তাদের রোগী মারা গেছে কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে নানা অযুহাত দেখি ১৪ ব্যাগ রক্ত নিয়েছে এবং মৃত মানুষকে আইসিইউতে নিয়ে তাদের শুধু সান্তনা দিয়েছে।

নিহত হাসি বেগমের স্বামী নুরুল মল্লিক জানান, চিকিৎসক রুমানা আরমান তার স্ত্রীর নাড়ি কেটে ফেলে এবং তার ভুল চিকিৎসায় কারণে তার স্ত্রীর প্রাণ দিতে হলো। 

তিনি আরও বলেন, রোগীর অবস্থা খারাপ জানতে পেরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রোগী ফেরত চাইলেও রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয় নাই।

এ ব্যাপারে চিকিৎসক ডা. রুমানা আরমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।

জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, এম এ রশিদ হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনাটি আমরা শোনেছি, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আরবি/জেডআর

Link copied!