মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌরসভা থেকে ২ মাসেও ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট না পাওয়ায় এসআই মীর রাশেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গাফলতির অভিযোগ ওঠেছে। এতে সেবা গ্রহীতারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রজ্ঞাপনে দেশের সকল পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের পদ থেকে অপসারণ করার পর থেকেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পৌরবাসী।
জানা যায়, সিংগাইর পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। এগুলো হলো, নয়াডাঙ্গী-১ আজিমপুর ২, আজিমপুর ৩ কাংশা ৪, গোলড়া ৫, আঙ্গারিয়া ৬, গোবিন্ধল ৭, মধ্য সিংগাইর বকচর ঘোনাপাড়া ৮, কাশিমনগর বিনোদপুর ৯ নিয়ে গঠিত সিংগাইর পৌরসভা। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সারা দেশের ন্যায় সিংগাইর পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের অন্তবর্তীকালীন সরকার ২৬ সেপ্টেম্বর তাদেরকে পদ থেকে অপসারিত করা হয়। এতে স্থবির হয়ে পড়ে পৌরসভার নাগরিক সেবা কার্যক্রম। চলমান অবস্থায় পৌরবাসীরা ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম সনদ, মৃত্যুসনদ, নাগরিক সনদপত্র, ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট ও নামের প্রত্যয়ন নিতে নানা রকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। পৌর কার্যক্রম সচল রাখতে প্রশাসক নিয়োগের পাশাপাশি একাধিক সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে এবং অধিকাংশ কর্মকর্তা না আসায় সেবা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে সিংগাইর পৌরবাসীর দূর্ভোগ এখন চরমে।
একাধিক পৌরবাসী অভিযোগ করে বলেন, উল্লেখিত সনদ প্রাপ্তির জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের (কমিশনার) সুপারিশ নিতে হতো।
বর্তমানে স্কুল শিক্ষক ও অন্যদের সুপারিশ আনতে ভোগান্তির স্বীকার দিন দিন বেড়েই চলেছে পৌরবাসীর। ভুক্তভোগী পৌর এলাকার গোলড়া গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের সিরাজুল ইসলাম জানান,আমি নভেম্বর মাসের প্রথমে ওয়ারিশান সাটিফিকেটের জন্য আবেদন করি। আবেদনটি থানার এসআই রাশেদুলের কাছে রয়েছে । অনেক তদবির করেছি। তিনি কোন কর্নপাত করছে না।
তিনি আরোও জানান, চিকিৎসা ও ঋন পরিশোধের জন্য জমি বিক্রি করেছি। ওয়ারিশান সার্টিফিকেটের জন্য দলিল করে দিতে পারছি না। আমাকে র্দূভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ছেলের জন্ম নিবন্ধন করতে আসা লায়েব মিয়া ও একি নামের প্রত্যয়ন নিতে আসা আফছার উদ্দিন বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে ঘুরছি কোন কাজ হচ্ছে না। জন র্দূভোগ হচ্ছে বলে জানান তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পৌর স্টাফ জন দূর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, আগে যে কাজটা একদিনে হতো। প্রশাসনের লোক পৌর সভায় না আসায় সময় লাগছে।
সিংগাইর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মীর রাশেদুজ্জামান বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালনের জন্য তদন্ত করে ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেটটি দিতে পারিনি।
পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, ভোগান্তির বিষয়টি আমাকে জানালে আমি দ্রুত সমাধান করে দিবো। এ ছাড়াও আমি সমন্বয় সভায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।
আপনার মতামত লিখুন :