ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কক্সবাজার জেলায় লাখো মানুষ পানিবন্দী: ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার ব্যুরো

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম

কক্সবাজার জেলায় লাখো মানুষ পানিবন্দী: ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

গভীর স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে আজও বৃষ্টি ঝড়ছে কক্সবাজারে। গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে সৈকত নগরীসহ জেলার ৯ উপজেলার বহু এলাকা পানিতে ডুবে আছে। পানিবন্দী হয়ে আছে লাখো মানুষ। বৈরি আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। 

এদিকে, শুক্রবার রাতেও ভারী বর্ষণ হয়েছে। শহরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। 

কক্সবাজারে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাত আজও অব্যাহত আছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। শহরের প্রধান সড়কগুলো থেকে পানি কিছুটা কমলেও এখনো কিছু সড়ক জলাবদ্ধ। অতিবৃষ্টির সাথে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করায় ডুবেছে জেলার শতাধিক গ্রামের নিমাঞ্চল। জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত কক্সবাজারের জনজীবন। লাখো মানুষ পানিবন্দী। কাজে বের হতে পারছে না কর্মজীবীরা। ঘুরতে এসে কক্সবাজারে হোটেল মোটেলে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার পর্যটক। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে শতাধিক পরিবারকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভারী বৃষ্টির পর জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল কক্সবাজারের জনজীবন।

দুইদিনের অতিবৃষ্টিতে কক্সবাজারের শতাধিক জনপদ পানিতে নিমজ্জিত হয়। একই সঙ্গে পাহাড়ি ঢল ও পানি প্রবেশ করে জেলার বেশকিছু গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

শনিবার বৃষ্টি কমার সাথে সাথে নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। এরসাথে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে রাস্তা ঘাট। দুর্ভোগে পড়ে গেছে মানুষ।

ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। হিমছড়ি ও নাজিরার টেক সৈকত থেকে উদ্ধার হয়েছে ২ জেলের মরদেহ। শুক্রবার উদ্ধার করা হয়েছিল আরও ১ জনের মরদেহ। এ নিয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। 

কক্সবাজার ফিশির বোট মালিক সমিতির নেতা ও মৎস্য ব্যবসায়ী জয়নাক আবেদীন জানান, এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৬০টি ফিশিং বোট ও অনেক মাঝি মাল্লা। এদের দ্রুত উদ্ধারের দাবী বোট মালিকদের।

শনিবারও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। রোববার থেকে বৃষ্টিপাত কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন কক্সবাজার আবহাওয়া দপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে। কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। এছাড়া ঝিলংজা দক্ষিণ ডিককুলে পাহাড় ধসে নিহত তিনজনের পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ চলছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!