মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মনুনদী থেকে উত্তোলিত বালু নিয়মিত শ্রীমঙ্গল সহ বিভিন্ন স্থানে পরিবহন হচ্ছে। ১০ চাকার ট্রাকে করে অতিরিক্ত বালু বহন করার কারণে ধ্বসে পড়ছে পর্যটনবাহী কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কপথ। ঝুঁকির মুখে রয়েছে চলাচলকৃত যানবাহন ও পথচারী।
জানা যায়, অতিরিক্ত বালু বহনকারী গাড়ি চলাচলের কারনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের শমশেরনগর-চাতলাপুর ও কুলাউড়া-শমশেরনগর-শ্রীমঙ্গল সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া উন্মুক্ত ভাবে বালু পরিবহনের কারনে, দুর্ঘটনার ঝুঁকির মুখে রয়েছেন পথচারী ও যানবাহনের চালকরা। দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে বালু বহনের কারনে সড়কে যানজটসহ স্থানীয়ভাবে অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। রাস্তার ক্ষতি হওয়ায় ঝুকিতে, মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কায়সার হামিদ গত ১৯ মে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত সচিত্র পত্রে বলেন, কুলাউড়া-শমশেরনগর-শ্রীমঙ্গল সড়কে ২২ মেট্রিক টন লোড বহন করার অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু বালু বহনকারীরা ধারণ ক্ষমতার অধিক বালু গাড়িতে বহন করেন। ৪০-৫০ টন বালু বহনকারী ১০ চাকার ভারী ট্রাক নিয়মিত চলাচলের কারনে ফাউন্ডেশন সহ সড়ক পেভমেন্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব ভারী গাড়িতে বালু পরিবহন বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথের আপত্তি উপেক্ষা করে ধারণ ক্ষমতার অধিক ভারী গাড়িতে বালু বহন করার কারনে গত শনিবার ও রোববার কমলগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু ইব্রাহীম জমশেদের নের্তৃত্বে স্থানীয় লোকজন প্রায় অর্ধশতাধিক গাড়ি আটকিয়ে রাখেন। এতে কমলগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা থেকে ধলাই নদীর নতুন ব্রীজ এলাকায় যান চলাচলের মারাত্মক ব্য্ঘাাত ঘটে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অতিরিক্ত বালু বহনের দায়ে বালু সরবরাহকারী জনৈক মোঃ হারুনুর রশীদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, অতিরিক্ত বালু বোঝাই বহনকারি ট্রাকগুলো আটক করেছে স্থানীয়রা।পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বালু সরবরাহকারীদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে, পরবর্তীতে অতিরিক্ত বালু বহন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে বালুবোঝাই ট্রাকগুলো ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :