কুমিল্লা: কুমিল্লা জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য খাতে। ১৭ টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি উপজেলার ১২২টি ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি ২৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকার লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য বিভাগ। ভেসে গেছে ২৭ হাজার ৬৪৯টি পুকুরের মাছ। বেশী ক্ষতি হয়েছে জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলায়। ওই উপজেলাটিতে ৩৭৫০টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে বরুড়া উপজেলা। এই উপজেলায় ৩৭৪৯টি পুকুর জলাশয়ের মাছ ভেসে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্যচাষীরা। তাছাড়া ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুই হাজার, বুড়িচং উপজেলার দুই হাজার একশ, লালমাই উপজেলার দুই হাজার সাত, আদর্শ সদর উপজেলার দুই হাজার ৪৫২টি, মুরাদনগর উপজেলার ৮০০টি, চান্দিনা উপজেলার ২০০টি, লাকসাম উপজেলার আড়াই হাজার, তিতাস উপজেলার ৪২৯টি, দেবীদ্বার উপজেলার দুই হাজার, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার এক হাজার ৮৪০টি এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার ৬৬০টি পুকুর এবং দিঘী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর ও দিঘীর আয়তন ৬ হাজার নয়শ পাঁচ হেক্টের। চিংড়ি এবং ফিন ফিস ভেসে গেছে প্রায় ৩২ হাজার ৮শ ৭০ মেট্রিক টন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, জেলার ১৪টি উপজেলা এবারের বন্যা ও অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের মৎস্য খামারী এবং চাষীরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাদের মাছ ভেসে যাওয়ার সাথে সাথে অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। তাদের পুনর্বাসনে আমরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। সরকারি সহায়তার বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। এখনো এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। আশা করি ক্ষতিগ্রস্তরা সাহায্য সহযোগিতা পাবেন।
আপনার মতামত লিখুন :