গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলেছিল মা। একই কক্ষের বিছানায় পড়েছিল চার বছর বয়সী শিশু কন্যার নিথর দেহ। বগুড়ার কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপুইল পূর্বপাড়া এলাকা থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দাম্পত্য কলহের কোনো সুত্র মিলছে না। ঘটনাস্থলে পাওয়া একটি চিরকুট নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মা ও শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতরা হলেন- কাহালু উপজেলার ডেপুইল পূর্বপাড়ার অটোচালক আব্দুল মোমিনের স্ত্রী জুলেখা বেগম (২৫) ও তার মেয়ে মুশফিকা (৪)।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান বলেন, ঘটনার নেপথ্যের কারণ এখনো জানা যায়নি। দাম্পত্য কলহের কোন বিষয়ও প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসেনি। লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সেখানে মৃত্যুর জন্য কাউকেই দায়ী করা হয়নি। চিরকুটের লেখাসহ সার্বিক ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
এদিকে স্বামী ও শ্বশুরের দাবি, গৃহবধূ জুলেখার স্বামী অটোরিকশা নিয়ে সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে বের হন। শ্বশুর আবু বকর যোহর নামাজ শেষ করে বাসায় ফিরে দুপুরের খাবার দেয়ার জন্য ছেলের বউকে ডাকাডাকি করেন। কোন সাড়া না পেয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। জানালা দিয়ে ভেতরে দেখেন গৃহবধূ জুলেখা গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলছিল। বিছানায় পড়েছিল নাতনি মুশফিকার মরদেহ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও দুটি লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :