ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

চন্দনাইশে মুলার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৪, ০৯:৩৪ পিএম

চন্দনাইশে মুলার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

চন্দনাইশের দোহাজারী পাইকারী সবজির বাজারে বিক্রির জন্য রাখা মুলা । ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার সীমান্তবর্তী শঙ্খ নদীর বিস্তর্ণ চরে মুলা চাষে ভাগ্য বদলের আশাবাদী কৃষকদের। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মুলার বাম্পার ফলন ও দাম বেশী পাওয়ার ফলে সারাদিন মুলা ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। চলতি বছর মুলার বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের পরিবারে চলছে খুশির জোয়ার।

চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর। মুলা চাষিদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান, কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন।

সরেজমিন গিয়ে শঙ্খ নদীর চরে যতদুর দেখা যায়, কৃষকেরা ক্ষেত পরিচর্যা ও ফলন উঠিয়ে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে দেখা যায়। বাজার দর ভালো থাকায় কৃষকেরা আনন্দিত। চাষিরা বলেছেন, শঙ্খের বিস্তৃর্ণ চর মুলা চাষে উর্বর হওয়ায় প্রতিবছরের মত এবারও মুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। মুলা চাষে খরচের চেয়ে লভ্যাংশ বেশি হওয়ায় এবার দ্বিগুন মুলা চাষ হয়েছে
এ শঙ্খ নদীর চরে। তবে, সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম কিছুটা বাড়তি হওয়ায় সবজি চাষে ব্যয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রথমদিকে প্রতি কেজি মুলা ১২০ টাকার উর্ধ্বে বিক্রি হলেও বর্তমানে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মুলা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন বলেছেন, চলতি মৌসুমে তীরব তাপদাহের কারণে সবজি চাষে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেসব মুলা ক্ষেত রয়েছে তাদের সার্বক্ষণিক বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। মুলা খেত একটি লাভজনক ফসল। তিনি আশা করছেন এবার সবজি চাষের পাশাপাশি চন্দনাইশে মুলার বাম্পার ফলনে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন কৃষকরা।

 

আরবি/জেডআর

Link copied!