বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম

আমির আলীর জমি দখলে নিতে পায়তারা করছে পৌর যুবদল নেতা

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম

আমির আলীর জমি দখলে নিতে পায়তারা করছে পৌর যুবদল নেতা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আমির আলীর রেকর্ডীয় জমি দখলে নিতে পায়তারা করছে পৌর যুবদল নেতা। ভেদভেদি হতে শিমুলতলী পর্যন্ত চলে আমাদের নিজস্ব আইনে! রাঙামাটির বেতারের সামনে রেকর্ডীয় জায়গা দখলের চেষ্টা। ৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় আমির আলীর বসত বাড়ির সামনে মেইন সড়কের পশ্চিম পার্শে রাঙামাটির বেতার সংলগ্ন ৬নং ওয়ার্ডে রেকর্ডীয় জায়গা দখলের চেষ্টা ও কাজে বাঁধা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে ভূমিদস্যু ও ৬নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা আবছারগংদের বিরুদ্ধে।

আমির আলীর অভিযোগে বলা হয়েছে, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. হোসেনের তিন ছেলে আক্তার হোসেন,আবছার হোসেন ও রাব্বানি এবং তাদের বোনের জামাই নূর সৈয়দ ও আক্তার হোসেনের বড় ছেলে আমজাদ এবং মো. হোসেনের ৩ ছেলেসহ আরো ২০-২৫জন মিলে আমির আলীর জায়গা দখলের চেষ্টা ও চাঁদা দাবি করছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আজ শুক্রবার সকালে আমির আলীর নিজ বাস ভবনে এক সংবাদ সংম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি আমির আলী।

আমির আলী তার লিখিত অভিযোগে বলেন, অভিযুক্ত আবছার হোসেনগং আমার রেকর্ডীয় জায়গা খাস জায়গা বলে তাজরুম খানম এর কাছে ১০ শতাংশ, সিরাজের কাছে ৫শতাংশ,মিন্টুর কাছে ১০শতাংশ ও আনোয়ারের কাছে ৮ শতাংশ বিক্রি করে দেন আবছার হোসেনগংরা।

আমির আলী বলেন, আবছারগংরা তিন ভাইকে রাস্তার পার্শ্বের ৪৫শতক জায়গা রেজিস্ট্রোরি  করে দিতে হবে। অন্যথায় না দিলে তাদেরকে ২কোটি ২৫লক্ষ টাকা নগদে দিতে হবে। এধরনের হুমকি ধমকি দিচ্ছে আমারকে ও আমার পরিবার পরিজনদেরকে। আমি আমার জমির উপর বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করতে গেছে ভূমিদস্যু ও পৌর যুবদল নেতা আবছার, মো. হোসেনের তিন ছেলে আক্তার হোসেন ও রাব্বানি এবং তাদের বোনের জামাই নূর সৈয়দ ও আক্তার হোসেনের বড় ছেলে আমজাদ, মো. হোসেনের ৩ ছেলেসহ আরো ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী এসে আমার কাজে বাঁধা প্রদান করে।

গংবাদ সম্মেলনে আমির আলী অভিযোগ করে বলেন, আমি ২০০৬ সালে রেকর্ডীয় ১ একর ২৫ শতক জায়গা খরিদ করি। উক্ত জায়গায় বিভিন্ন গাছপালা রোপন করি ও একটি বসত বাড়ি নির্মাণ করি। মো. হোসেন আমার জায়গার পাশে তার তিন ছেলেকে নিয়া বসবাস করে। আমার নির্মাণ করা বসত বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকার কথা বলে মো. হোসেন আমাকে খুব অনুরোধ করে। আমি তার কথায় রাজি হইয়া কার্টিজ পেপারে একটি চুক্তিনামা করিয়া প্রতি মাসে ৬০০ টাকা ভাড়া ধার্য্য করিয়া তাকে ভাড়া দেই। মো. হোসেন আমাকে কথা দেন আমার জায়গাটি পাহারাদার হিসেবে দেখবেন। মো. হোসেন আমাকে ২মাসের ভাড়া দিলেও আমার থেকে ৮,৪০০/- টাকা হাওলাত হিসেবে নেন।

আমার পুরো জায়গাটি মো. হোসেনের ৩ ছেলে আমার বসত বাড়িসহ জবর দখল করে নিতে পায়তারা চালাচ্ছে। আমি রাঙামাটিতে অনেক নেতৃবৃন্দের কাছে যাইয়াও আমার জায়গা থেকে মো. হোসেন ও তার ৩ ছেলেকে সরাইতে পারি নাই। আমি সম্পূর্ণ নিরুপায় হয়ে ২০০৮ সালে আইনজীবী দুলাল বাবুকে নিয়োগ করে আদালতে একটি উচ্ছেদ মামলা করি। যাহার অপরজারি মামলা নং- ১৮২। দীর্ঘ ১৪ বছর মামলা চালাইয়া জেলা ও দায়রা জজ আমার পক্ষে রায় দেন যে, মো. হোসেন ও তার ৩ ছেলেকে আমার জায়গা হইতে উচ্ছেদ করিয়া আমার জায়গা আমাকে বুঝাইয়া দেওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেট,সার্ভেয়ার,কানুনগো,পুলিশ প্রশাসন,জেলা ও দায়রা জজ সরেজমিনে আসিয়া চৌহর্দ্দীসহ পরিমাপ করিয়া আমার জায়গা আমাকে বুঝাইয়া দেন। মো. হোসেনের তিন ছেলে সে দিন আমাকে কিছু না বলিলেও পরদিন যখন আমি জায়গায় যাই, তারা আমাকে আমার জায়গায় যেতে বাঁধা দেয়। আমাকে বলে এই জায়গায় আমরা ১৪ বছর ছিলাম। এই জায়গা আমাদের। তোকে আদালত জায়গা বুঝাই দিছে, আদালতের আইন আমরা মানি না। ভেদভেদী হইতে শিমুলতলী এলাকায় আমাদের ৩ ভাইয়ের নিজস্ব একটা আইন আছে। আমাদের আইন দিয়া এলাকা চলে। এই জায়গায় পেতে হলে আমাদের ৩ ভাইকে ৬০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে।

অভিযুক্ত আবছার বলেন, আমির আলী বিভিন্ন জায়গায় আমার ও আমার ভাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু এই জায়গা আমাদের। আমাদের কাছেও জমির বৈধ কাগজপত্রাদি রয়েছে। আমির আলী সব সময় মিথ্যা কথা বলে। এই ব্যাপারে জোনে উভয় পক্ষকে ঢেকেছে। কিন্তু অসুস্থ বলে আমির আলী জোনে যায়নি। সে যেসব অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়া।

আরবি/জেডআর

Link copied!