বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম

খরস্রোতা যমুনা নদীতে নাব্যতা সংকট, কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তি

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম

খরস্রোতা যমুনা নদীতে নাব্যতা সংকট, কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়া সারিয়াকান্দির একসময়ের খরস্রোতা যমুনা নদী এখন নাব্যতা সংকটে। কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কৃষক-দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নদী পারাপারের মানুষজন। যমুনা নদীর গভীরতা কমে অসংখ্য ডুবোচর সৃষ্টি এবং নতুন নতুন চর জেগে ওঠায় উপজেলার বেশকিছু নৌরুট বন্ধ হয়ে গেছে । মালামাল নিয়ে মানুষজন পায়ে হেটে অতিকষ্টে গন্তব্যে পৌঁছে।

এ উপজেলায় গত কয়েক বছর ধরেই বছরের প্রায় ৬ মাসের বেশি সময় ধরে যমুনা নদীর নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। কয়েক বছরে যমুনা নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে  মূল শ্রোতধারা এখন কাজলা ও চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব সীমানা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বোহাইল ও কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নে পশ্চিম সীমানা দিয়ে যমুনা প্রবাহিত হচ্ছে।

নাব্যতা সংকটের জন্য উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলতাফ আলীর খেয়াঘাট, হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাসনাপাড়া ও নিজবলাইল খেয়াঘাট এবং চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি নৌঘাট বন্ধ রয়েছে। নৌকার পরিবর্তে এসব নৌরুটে কৃষকরা কৃষিপণ্য ঘোড়ার গাড়িতে করে বেশি ভাড়া দিয়ে পরিবহন করছেন।

কেউবা পায়ে হেঁটে ঘারে করে অনেক কষ্টে কৃষিপণ্য বা পশুখাদ্য পরিবহন করছেন। এছাড়া নাব্যতা সংকটে পুরো যমুনা নদীজুড়ে অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ডুবোচরে চলন্ত নৌকা আটকে অনেক সময় ব্যয় হচ্ছে । এদিকে যমুনা নদীর নাব্যতা সংকটে উপজেলার একমাত্র ব্যস্ততম সারিয়াকান্দি মাদারগঞ্জ নৌরুটও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। পরে এ নৌরুট ড্রেজার দিয়ে ড্রেনের মতো খনন করে নৌকাগুলো চলাচল করছে।

এবিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন জানান, সারিয়াকান্দিতে নদীবন্দর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, এটি বাস্তবায়ন হলে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে কৃত্রিম নৌপথ সৃষ্টি করলে এ সমস্যার সমাধান হবে।

আলতাফ আলী নৌঘাটের মাঝি সাইফুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীতে পানি না থাকায়  গত ১৫ দিন আগে থেকেই তার নৌঘাট বন্ধ হয়েছে। প্রায় চার লাখ টাকা দিয়ে তিনি ঘাটটি ইজারা নিয়েছিলেন। তার আসল টাকা এখনও ওঠেনি। তাই তিনি এখন লোকসানে আছেন। এ নৌরুট দিয়ে যাত্রীরা হেঁটে চলাচল করছেন এবং ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে কৃষিপণ্য পরিবহন করছেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমান বলেন, সারিয়াকান্দিতে নদীবন্দর করার প্রস্তাবনা ইতিমধ্যেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প প্রণয়ন সফল হলে সারিয়াকান্দির যমুনা নদীতে ড্রেজিং কাজ শুরু করা হবে। ফলে কৃত্রিমভাবে সারিয়াকান্দিতে কিছু নৌরুট চালু করা হবে। এতে কৃষক ও জনসাধারণে সকল ধরনের ভোগান্তির অবসান হবে।


 

আরবি/জেডআর

Link copied!