শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৫, ০৯:২১ পিএম

প্রবাসীদের উদ্যোগে নতুন বছরের উপহার ৬০০ ফুটের ‘প্রবাসী সেতু’

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৫, ০৯:২১ পিএম

প্রবাসীদের উদ্যোগে নতুন বছরের উপহার ৬০০ ফুটের ‘প্রবাসী সেতু’

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের সরদার মাহামুদের চর মরা আড়িয়াল খাঁ খেয়াঘাট। যুগ যুগ ধরে ঘাটটি দিয়ে নৌকাযোগে পারাপার হতেন ওই এলাকার মানুষ। খেয়া পারাপারে পোহাতে হতো অনেক ভোগান্তি। অবশেষে সেই ভোগান্তির অবসান হলো প্রবাসীদের উদ্যোগে। উপজেলার নিলখীর মরা আড়িয়াল খাঁ নদে স্থানীয়দের সার্বিক সহযোগিতা ও প্রবাসীদের অর্থায়নে  নির্মাণ করা হয়েছে কাঠের সেতু। এ জন্য সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে ‘প্রবাসী সেতু’।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল ও দুই উপজেলার সংযোগস্থল সরদার মাহমুদেরচর খেয়াঘাট। ঘাটটি দীর্ঘদিন ধরে খেয়াপারাপার হয়ে আশপাশের গ্রাম ও হাট-বাজারে যেতে হতো দুই পারের মানুষের। অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে হলে এই খেয়াঘাট দিয়েই নিতে হতো। অন্যস্থান দিয়ে গেলে অনেক সময় লেগে যেতো। নদের দুই পাড়েই রয়েছে বিদ্যালয়সহ প্রয়োজনীয় স্থাপনা। যার সুফল পেতে দুইপাড়ের প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষের পোহাতে হতো ভোগান্তি। অবশেষে সেই ভোগান্তির অবসান হলো প্রবাসী ও এলাকাবাসীর যৌথ প্রচেষ্টায়। নতুন বছরে গ্রামবাসীকে ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি কাঠের সেতু উপহার দিল প্রবাসী ও যুব সমাজ। সেতুটি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা এ এলাকার মানুষ।

এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মিত কাঠের সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে ‘প্রবাসী সেতু’। এর দৈর্ঘ্য ৬০০ ফুট, প্রশস্ত সাড়ে ৩ ফুট। কাঠা ও বাঁশ দিয়ে তৈরি এই সেতুটি ২ মাস সময় লেগেছে এবং ব্যয় হয়েছে দুই লাখ টাকা।

সেতুটি দেখতে আসা এলাকার বাসিন্দা হৃদয় মাহমুদ বলেন, আমার বাড়ি নিলখীতে। প্রায় মাঝে মাঝেই আমি এ খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার হই। পারাপারের সময় নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এখন এই সেতু হওয়াতে আমরা খুশি। স্বল্প সময়ে এপার ওপার পারাপার হয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবো। এ জন্য আমরা প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানাই।

অপর বাসিন্দা রাজু আহমেদ খান বলেন, নতুন বছরে নতুন উপহার পেলাম। এতো বড় কাঠের সেতু আমি কখনো দেখিনি। আমার মনে হয় জেলার মধ্যে এতো বড় কাঠের সেতু নেই। আজ উদ্বোধনের কথা শুনে সেতুটি দেখতে আসলাম।

নিলখী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল রহিম লপ্তি বলেন, আমাদের এলাকার যুব সমাজের উদ্যোগে ও প্রবাসীদের অর্থায়নে বিশাল এই কাঠের সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। কাঠের সেতুটি নির্মাণ করায় এ এলাকার মানুষ অনেক উপকৃত হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!