গাজীপুর: জনবল সংকট, ঔষধ সরবরাহে ঘাটতি, পাকা রশিদ না দিয়ে চিরকুটের মাধ্যমে টেষ্টের টাকা নয় ছয়, রোগ নির্ণয়ের জন্য হাসপাতালের অভ্যন্তরে পরিক্ষা-নীরিক্ষা না করিয়ে রোগীদের বেসরকারী ক্লিনিকে পাঠিয়ে টেষ্টের কমিশন বাণিজ্য করাসহ নানা নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জর্জরিত কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। এ সকল অনিয়ম নিয়ে গত ৩০ জুলাই ‘অনিয়মে জর্জরিত কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’ শিরোনামে দৈনিক রুপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় একটি তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে গাজীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়।
গত ২২ আগস্ট সিভিল সার্জন কার্যালয় হতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তদন্ত কাজ শুরু করে। উল্লেখ যে, কয়েক বছর যাবত কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের পাকা রশিদ না দিয়ে সাদা কাগজের চিরকুটের মাধ্যমে অর্থ আদায়, পরিক্ষা-নিরীক্ষার ফি কাউন্টারে জমা নিয়ে রিপোর্টে ফ্রি দেখানো, ডাক্তাররা রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে অপ্রোয়জনীয় টেষ্ট লিখে নির্দিষ্ট প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে পাঠিয়ে কমিশন বাণিজ্য, টেষ্ট বাবদ আদায় করা সরকারী অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করছে।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদা আখতার প্রতিবেদককে জানান, প্রাথমিক তদন্তে অনিয়ম পাওয়া গেছে। শীগ্রই অধিকতর তদন্ত করে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :