পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পরিচালিত টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের আওতাধীন পাড়া কেন্দ্র তিন পার্বত্য জেলায় ৪৫৫০টি পাড়া কেন্দ্র ১৭মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে। বেকার হয়ে পড়েছেন ৪৫৫০জন পাড়া কেন্দ্রের শিক্ষক এবং ১৫১৬জন সংগঠক ও বেকার হয়ে পড়েছে।
এছাড়া এই প্রকল্পের অধীনে ১১২জন কর্মকর্তা কর্মচারিও বেকার হয়েে গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০জুন ২০২৩ সালে পাড়া কেন্দ্রের প্রজেক্টেও মেয়াকাল শেষ হয়ে যায়। তাই ২৩ জুলাই ২০২৩ প্রজেক্টটি বন্ধ হয়ে যায়। গত অক্টোবর ২০২৪ নতুন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেওয়া হলেও তার কাগজপত্র বা জিও এখনো বোর্ডে এসে পৌছায়নি। তাই নতুন প্রজেক্টে এখনো কর্মকর্তা কর্মচারি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। একনেকে অনুমোদনের কাগজপত্রাদি হাতে পেলেই নতুন প্রজেক্টের কার্যক্রম চালু করা হবে।
এই প্রজেক্টের সাবেক ম্যানেজার মোঃ ইয়াছিন মুঠোফোনে বলেন, প্রায় দেড় বছর হলো পাড়া কেন্দ্র প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে গেছে। তবে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে নতুন প্রজেক্ট একনেকে অনুমোদন হয়েছে। তবে প্রজেক্টের জিও এখনো বোর্ডে এসে পৌছেনি। অনুমোদনের জিও আসলেই কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়োগসহ সকল কার্যক্রম চালু হবে। আমি এই প্রজেক্টে চাকরি করতাম এখন আমারও চাকরি নাই। নতুন প্রজেক্টে চাকরি হবে কি হবে না তাও জানিনা।
এদিকে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এই তিন জেলায় ৫৫৫০ জন পাড়াকর্মী, ১৫১৬জন মাঠ সংগঠক এবং ২১২জন কর্মচারি প্রায় দেড় বছর ধরে বেকার হয়ে পড়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে প্রায় ১লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি শিশু শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়েছে।
অপরদিকে মানবেতর জীবনযাপন করছে পাড়া কেন্দ্রের শিক্ষকরা। আবার অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাড়া কেন্দ্রগুলো। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিল এইসব পাড়া কেন্দ্রগুলো। সরকারের উচিৎ এইসব পাড়া কেন্দ্রের শিক্ষকদেও বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান করা।
এ বিষয়ে জানতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (যুগ্ন সচিব) রিপন চাকমার বক্তব্য চাইতে গেলে তিনি বক্তব্য দিতে অপারগতা শিকার করে। তিনি এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানেন না তাই বক্তব্য দেবেনা বলে তার পিএস মোরশেদ আলমের মাধ্যমে জানিয়ে দেন।
এদিকে দীর্ঘদিন বোর্ডের চেয়ারম্যান শূণ্য থাকায় বোর্ডের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা হওয়ার পর চেয়ারম্যানের পদটি শূণ্য হয়ে পড়ে। তবে সুপ্রদীপ উপদেষ্টা হয়ে বদনামির গন্ধ ছড়িয়েছে গোটা পাহাড়ে। সর্বশেষ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুন:গঠন করতে গিয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার বদনামির পাল্লা আরো ভারী হয়েছে। পাহাড়ি বাঙালি সবাই তার পদত্যাগ চায়।
আপনার মতামত লিখুন :