বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নজরুল ইসলাম দয়া, বগুড়া

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০১:৩৯ এএম

বগুড়া বিমানবন্দর চালু করতে আরও এক বছর অপেক্ষা

নজরুল ইসলাম দয়া, বগুড়া

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০১:৩৯ এএম

বগুড়া বিমানবন্দর চালু করতে আরও এক বছর অপেক্ষা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দুইযুগ বঞ্চনার পর বগুড়া বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আশার সঞ্চার হলেও দেশের এই নবম বিমানবন্দর স্বল্প পরিসরে চালু করতে কমপক্ষে একবছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর চীফ অব এয়ার স্টাফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।

রোববার (১২ জানুয়ারি) বগুড়া বিমানবন্দর ও আশপাশ এলাকা পরিদর্শন করেন সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের একটি টিম। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার আমলে লাল ফাইলের বন্দিদশায় ছিল উত্তর জনপদের প্রাণকেন্দ্র বগুড়া। অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা মুক্তির আলোর সম্ভাবনায় কয়েকটি জেলার মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে। 

বিমানবন্দর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিমান বাহিনীর চীফ অব এয়ার স্টাফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। তিনি বলেন, বগুড়া এয়ারপোর্ট (বিমানবন্দর) চালু করতে আগের সরকারকে একাধিকবার প্রস্তাব দিলেও গুরুত্ব দেয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর দেশের নবম বিমানবন্দরটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাজেট পেলেও স্বল্প পরিসরে চালু করতে কমপক্ষে একবছর সময় লাগবে। 

বিমান বাহিনীর প্রধান বলেন, এয়ারপোর্ট চালু করতে হলে সর্বনিম্ন ৬ হাজার ফুট রানওয়ে প্রয়োজন। বর্তমানে ৪৭০০ ফুট রানওয়ে আছে। এটি চালু হলে অর্থনৈতিক পরিসর আরও সমৃদ্ধ হবে। বিমানবন্দরটি চালুর জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান।

শুরুতেই অভ্যন্তরীণ রুটে উড়বে বিমান। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সংশ্লিষ্টরা। কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দর চালুর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিলেই শুরু হবে কার্যক্রম। 

বাংলার প্রাচীন রাজধানী বগুড়ার মহাস্থানগড়। এ জেলায় দর্শনীয় ও ধর্মীয় একাধিক ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৫ হাজার বিদেশি পর্যটক আসেন। শিল্প, শিক্ষা ও ব্যবসা বাণিজ্যে এগিয়ে থাকলেও বগুড়ায় বিমানবন্দর চালু না হওয়ায় উন্নয়নের পরিবর্তন ঘটেনি। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বাড়ি বগুড়াতে হওয়ায় আওয়ামী লীগ শাসনামলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে উত্তরাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন প্রত্যাশা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। 

সূত্র জানায়, ১৯৮৭ সালে বগুড়ায় আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের শেষদিকে বিমানবন্দর স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে ২২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন পায়। ১৯৯৫ সালে বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ সড়কের পাশে ১১০ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। 

এরপর ১৯৯৬ সালে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করে। প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দরে রানওয়ে, কার্যালয় ভবন, কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ ও রাস্তাঘাট নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজ ২০০০ সালে শেষ হয়। কিন্তু নানা জটিলতায় বিমান চালুর উদ্যোগে ভাটা পড়ে। ফলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। 

আরবি/জেডআর

Link copied!