কক্সবাজার সদর উপজেলার পর্যটন স্পট দরিয়ানগর বড়ছরা খালের প্রবাহ বন্ধ করে কয়েক কোটি টাকা ভুমি দখলের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। এসময় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ কেটে দেয়া ও পাকা পিলার ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
রবিবার বিকাল থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত দরিয়ানগর বড়ছরা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার ভুমি সদর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ, বীচ কর্মী ও ব্যাটালিয়ন আনসার এ অভিযানে অংশ নেন।
দরিয়ানগর বড়ছরা খাল দখলমুক্ত করতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আগামীতে পরিবেশ ও সৌন্দর্য উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা সুশীল সমাজের।
প্রবাহমান খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, কক্সবাজারের পর্যটন স্পট দরিয়ানগর। এরপাশ দিয়ে প্রবাহমান বড়ছরা খাল দখল। এই খালটিতে দখলের জন্য সৈকতকে দ্বিখন্ডিত করে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ও পাকা পিলার দিয়ে কয়েক কোটি টাকার খালের জমি ও সরকারি জমি দখল করে নেয় সৈয়দ মাহমুদুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রভাবশালী চক্র। খাল দখল করায় পানি চলাচল ও জোয়ার ভাটার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা জানান, ছড়া দখল করায় পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়ে পাহাড় ভাঙ্গবে এবং ৭০০ একর পাহাড়ে ভাঙ্গন ও জনবসতি ভাঙ্গনের কবলে পড়বে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, দরিয়ানগর বড়ছরা খালের প্রবাহ বন্ধ করে জমি দখলের বিরুদ্ধে
১৭ই নভেম্বর রবিবার বিকাল থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত দরিয়ানগর বড়ছরা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।এরআগেও একবার অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করে ছিল প্রশাসন। ফের দখলের ঘটনায় জড়িত দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রবাহমান খালের পানি চলাচলের গতি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকুক, এটাই দাবী সংশ্লিষ্টদের।
আপনার মতামত লিখুন :