শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম

মাধবপুরে গাছে গাছে ঝুলছে পাকা তাল

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম

মাধবপুরে গাছে গাছে ঝুলছে পাকা তাল

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মৌসুমী ফল তালের রসের পিঠা আমাদের দেশের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তাল গাছের ডাল ও পাতা দিয়ে হাতপাখা, ফুলের টব, বাজারের থলে ও অনেক সুন্দর দ্রব্য তৈরী করা যায়। “ভাদ্র মাসে গাছের তলায় ঝইরা পড়ে তাল, পাকা তালের মৌ-মৌ গন্ধে করে যে মাতাল”। তালের পিঠা বেজায় মিঠা খেতে ভারি মজা, ভাদ্র-আশ্বিন মাসের তালের পিঠা, খায় যে রাজা-প্রজা। 

বাংলা সাহিত্যে তাল নিয়ে অসংখ্য কবিতা, ছড়া ও গান রচিত হয়েছে। ভাদ্র-আশি^ন মাস যেন বাঙালী জীবনের পাকা তাল ও তাল পিঠার মাস। হবিগঞ্জের মাধবপুরে গাছে গাছে এখন পাকা তালের মৌ মৌ গন্ধ মুখরিত করছে চারদিক। আর বাড়ীতে বাড়ীতে চলছে তাল পিঠা তৈরীর উৎসব। চলছে জামাই ও আত্মীয় স্বজন আপ্যায়ন। খাদ্য রসিক বাঙালি রসনা বিলাসের জন্য ভাদ্র-আশ্বিন এ দু’মাসেই তাল রসে তৈরি পিঠাসহ মুখরোচক নানা খাদ্য আয়োজনে ব্যস্ত থাকেন। খুব ধৈর্য নিয়ে নারীরা তালের আঁশ থেকে নির্যাস বের করে তৈরি করছেন তালের চিতল পিঠা, কাঁঠাল পাতায় ভরে কলকি পিঠা, তাল পিঠা, তাল বড়া, তাল তেল, তাল রুটি, তালের পায়েস, কলাপাতায় তাল পিঠা, তালের রসভরিসহ হরেক রকমের পিঠা পুলি। এক সময় মাধবপুরের প্রত্যন্ত জনপদে প্রচুর তাল গাছ দেখা যেত। 

কিন্তু সময়ের বিবর্তনে তাল গাছ অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। এককালে গ্রামের প্রতিটা ঘরে ঘরে তাল পিঠা বানানোর ধূম পড়ে যেত। সারারাত ধরে পিঠা তৈরি করে সকালে তা প্রতিবেশিদের মাঝে বিলানো হত। সবাই আনন্দচিত্তে তৃপ্ত হত সে পিঠা খেয়ে। গ্রাম বাংলার কোন খানে এসব মন ভুলানো দৃশ্য এখন খুব একটা চোখে পড়েনা। তবে নির্দ্বিধায় বলা যায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত সুস্বাদু এসব তাল পিঠা ও সেই সাথে এর ঐতিহ্যও। গাছ তলায় গিয়ে দলবেঁধে তাল কুঁড়ানো, সেই তালের রস নিয়ে পিঠা বানানো, তৈরি পিঠা নিয়ে বাড়ি বাড়ি বিলানোর চিত্র এখন যেন স্মৃতির পাতায় বন্দি হতে চলেছে। 

পূর্ব মাধবপুর গ্রামের মানিক মিয়া জানান, জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই এখন শাস যুক্ত প্রায় সব তাল বিক্রি করে দেয়া হয় তাই পাকা তাল খাওয়ার সুযোগ খুব একটা হয় না। শাস ব্যবসায়ীরা পুরো গাছ ধরে ক্রয় করে নিয়ে যায়। এক সময় তাল পাকানো হত, বোন-ভাগ্নির বাড়ীতে তা পাঠানো হত। বেশির ভাগ তাল বাগান মালিকরা শাস বিক্রি করে থাকেন। তাই বাজারে ১০০ থেকে ১২৫ টাকার নিচে ভালো পাকা তাল পাওয়া যায় না। তবে বেশি বেশি তাল গাছ লাগালে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজিব সরকার জানান, তাল গাছ শুধু প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে না বরং বজ্রপাত নিরোধক হিসেবেও কাজ করে। তাই বেশি করে তাল গাছ লাগানো হলে এ দেশ আরো সমৃদ্ধশীল হবে এবং কাঠের চাহিদা পূরণ হবে।
 

আরবি/জেডআর

Link copied!