সরিষার ফুলের হলুদ রঙে ছেয়ে গেছে নরসিংদীর পলাশের বিস্তৃর্ণ মাঠ । চারপাশে হলুদ ফুল আর সবুজ পাতার সমারোহে প্রকৃতি যেন সেজেছে নতুন রুপে। এ যেন ঘন কুয়াশার মাঝে কনকনে শীতে প্রকৃতি হলুদ চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে রেখেছে। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে ফসলের মাঠ। প্রকৃতি এক অপার লীলাভূমি নেমে এসেছে এখানে। এবার পলাশে সরিষার ভালো ফলনে কৃষকের চোখে মুখেও আনন্দের রেখা ফুটে উঠেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো:আজিজুর রহমান জানান, সরিষা চাষে কৃষকরা যেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক। দেশি জাতের সরিষার ৬০ থেকে ৭০ দিনে এবং উচ্চ ফলন শীল জাতের সরিষা উঠতে সময় লাগে ৭৫ থেকে ৮০ দিন। সরিষার আবাদ বৃদ্ধি হলে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়বে এবং তেলের আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে।
পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আয়েশা আক্তার বলেন, চলতি মৌসুমে ৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে যা গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে উৎপাদন হবে প্রতি হেক্টরে ১৫০০ কেজি।
তিনি আরো বলেন, আগে কৃষকরা স্থানীয় জাতের বীজ টরি-৭ চাষ করায় উৎপাদন অনেক কম হতো। তাই কৃষকরাও সরিষা উৎপাদনে অনিহা প্রকাশ করত। কিন্তু আমরা কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল সরিষার বীজ বারি সরিষা-১৪, বারি-১৫ ও বারি-১৭ বীজ বপনের পরামর্শ দিলে কৃষকরা তা ফলন করে এখন উৎপাদন অনেক রেড়ে গেছে। তাছাড়া আমরা গত চার বৎসর যাবৎ উপজেলার প্রায় শতাধিক প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সরিষার বীজ সার ও কীটনাশক সরবরাহ করার ফলে উপজেলায় এখন সরিষার আবাদ অনেক বেড়ে গেছে।
কৃষক মো. রফিক পাঠান জানান, এবার তার জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। এ আবাদে সেচ, সার ও কীটনাশক কম লাগে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় এবার সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। অপর কৃষক রহমত আলী জানান, আমি এ বছর লাভবান হওয়ার কারনে আগামী মৌসুমে আমাদের এলাকার অনেক কৃষক এ জাতের সরিষা আবাদের আগ্রহ দেখাচ্ছে। সরিষা চাষ অত্যন্ত
লাভজনক।
আপনার মতামত লিখুন :