পঞ্চগড়ে গত দুদিন থেকে কুয়াশার দেখা মিলছে। ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত হাল্কা শীত অনুভূত হচ্ছে। মাঝ রাতে নিতে হচ্ছে শীত নিবারণের জন্য কাথা বা কম্বল।
এদিকে, যখন কুয়াশা নামছে তখন হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। তবে কুয়াশার স্থায়িত্ব খুব একটা বেশি নয়। সূর্য উঠলেই কুয়াশা কেটে যায়।
শরৎকালে কুয়াশার কারনে পঞ্চগড়ের প্রকৃতিতে জানান দিচ্ছে শীত। ধানের শীষগুলোতে পড়ছে শিশির বিন্দু কণা। কমতে শুরু করেছে জেলার তাপমাত্রা। গ্রামের মেঠো পথের পাশে কচু পাতায় হাতের স্পর্শে ভিজছে হাত যেন শীতের এক অন্যরকম অনুভূতি। উত্তরের শেষ জেলার মানুষরা শীত মোকাবেলায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ২৩ ডিগ্রির ঘরে।
সকালে সূর্যের দেখা মিলেছে অনেক পরে। আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন থাকছে। সকালবেলা কুয়াশার মাঝে কেউ কেউ হাটতে বের হচ্ছেন, কেউবা ছুটছে তার গন্তব্যে। মাঝে মাঝে মৃদু বেগে হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এমনই চিত্র বিরাজ করছে পঞ্চগড়ের প্রকৃতির মাঝে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৬টায় ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৫ ডিগ্রীতে তাপমাত্রা উঠানামা করছে।
রোববার জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ের সামনে অটোরিকশাচালক আফসার মিয়া জানান, ‘গতকাল থেকে সাকালে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে, আর দেহাডা ঠান্ডা করেছে ওই বাদে একখান চাদর গাওখানত দিছু। সকাল ৯টা পর্যন্ত দেখা মিলেনি সূর্যের। হাল্কা হাল্কা ঠান্ডা লাগছে।’
পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা কমে গিয়ে কুয়াশার দেখা মিলেছে। মনে হচ্ছে, শীতের আগমনি বার্তা শুরু হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। দিন যত সামনের দিকে এগুবে তার সাথে সাথে তাপমাত্রা কমে যাবে, নামবে শীত।
আপনার মতামত লিখুন :