ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

৭ নভেম্বর উপলক্ষে পটিয়া উপজেলা বিএনপির প্রস্ততি সভা

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৪, ০২:০০ এএম

৭ নভেম্বর উপলক্ষে পটিয়া উপজেলা বিএনপির প্রস্ততি সভা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবস উৎযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েলের বাসভবনে এ প্রস্ততি সভা পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব এম এ জলিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি বদরুল খায়ের চৌধুরী।

দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের  সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ মনিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রস্ততি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনাফ, দক্ষিণ জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মাষ্টার, পটিয়া পৌরসভা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, জাহেদুল হক, দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, গোলাম মহিউদ্দিন, বিএনপি নেতা, ইদ্রিস পানু, দক্ষিণ জেলা কৃষক যুগ্ম আহবায়ক, হাজী নজরুল ইসলাম, আবদুল করিম, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ সভাপতি, আনোয়ার হোসেন মিয়া, বিএনপি নেতা, নুরুল আমিন, জাহাঙ্গীর আলম, এম সালাম ফারুকী, আবু বক্কর রায়হান, আবুল হোসেন, কাজী আনিস, বছিরুল আলম, আবদুর শুকুর, মনছুর শরীপ, নাছির মেম্বার, আমিন মেম্বার, ইমতিয়াজ ইমতু, সেলিম উদদীন, যুবদল নেতা, মাইমুনুল ইসলাম মামুন, নাছির উদ্দীন, হাসমত আলী, আবু শহীদ রমজান, খোকন শাহ, জমির উদদীন আজাদ, মোস্তফা মোরশেদ ননাই, জমির উদদীন, মোহাম্মদ আনিস, সোলাইমান, আবদুল মোমেন শিকদার, আবুল হাসেম রাববু, সোহান, বাকের, আজগর, শাহজাহান সিরাজ, শ্রমিকদল নেতা, আবদুর রহমান, মোহাম্মদ ওসমান, আবদুল হাকিম, গাজী দিদার, মুছা আলম, রিপন, জাহাঙ্গীর আলম, শামীম, গাজী হাসান, নুরুল করিম, হেলাল, আবদুল বাকের, ছাত্রদল নেতা, জাহেদুল ইসলাম সুজন, নাঈম উদদীন, আবদুল লতিপ, নাজমুল, নজরুল, আজাদ, সাকিব প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে জেনারেল খালেদ মোশাররফের ৩ দিনের সামরিক অভ্যুত্থানের পতন ঘটায়।

দলীয় সূত্র বলছে, ১৯৭২ সালের জুন মাসে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ করা হয়। ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি একজন ব্রিগেডিয়ার এবং বছরের শেষের দিকে একজন মেজর জেনারেল হন। জিয়াউর রহমান ২৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে সেনাপ্রধান হন। খালেদ মোশাররফ যখন শাফাত জামিলের নেতৃত্বে ঢাকা ব্রিগেডের সমর্থনে ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে একটি অভ্যুত্থান ঘটান, তখন জিয়াউর রহমান তার কমান্ড পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং তাকে গৃহবন্তি করা হয়।

৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতা বিপ্লব তাকে রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে যায়। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সংঘটিত সৈনিক ও জনতার এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার দৃশ্যপটে আসেন জিয়াউর রহমান। 

দিনটিকে ‌‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসথ হিসেবে পালন করে বিএনপি। সরকার-পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নতুন পরিস্থিতিতে এ বছর আড়ম্বরে দিবসটিকে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে ঘোষিত হয়েছে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচিও।

বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা এরইমধ্যে ৭ নভেম্বরকে উদযাপন করতে পটিয়া উপজেলা বিএনপি সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!