ঢাকা বুধবার, ০১ জানুয়ারি, ২০২৫

প্রিপেইড মিটার স্থাপনে পিডিবি‍‍`র বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ১১:৪২ পিএম

প্রিপেইড মিটার স্থাপনে পিডিবি‍‍`র বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাঙামাটি জেলা শাখাসহ তাদের সহযোগি সংগঠন ১৬দফা দাবিসহ প্রিপেইড মিটার স্থাপনে পিডিবি’র বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে একখানা স্বারকলিপি দিয়েছেন ভেদভেদিস্থ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দিনকে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে সুজন কমিটি রাঙামাটি বিদ্যুৎ সমস্যার প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এটি সমাধান করা হলে রাঙামাটির বিদ্যুৎ সেবারমানউন্নত হবে এবং গ্রাহকদের হয়রানি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রাঙামাটিতে প্রিপেইড মিটারের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও জোরপূর্বক প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়ে রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে ১৬টি দাবি নিয়ে অভিযোগ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাঙামাটি জেলা, শহর, সদর উপজেলা ও বন্ধু জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দরা।

এ সময় সুজন কমিটির পক্ষ থেকে এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়, সেখানে ১৬দফা দাবি ও অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গ্রাহকের অনুমতি ব্যতিত প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ করা, মিটারের স্থায়ী সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান, মোবাইলে ব্যালেন্স দেখার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করা, হতদদ্রি গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করা।

বিভিন্ন অভিযোগে দেখা গেছে, কোন একজন গ্রাহক প্রিপেইড মিটাওে ৫শ’ টাকা রিচার্জ দিয়েছে সাথে সাথে ২৫০ টাকা কেটে নিয়ে গেছে।

দেখা গেছে, সরকারি ভাবে দেওয়া প্রিপেইড মিটার বসাতে গিয়ে পিডিবি’র স্টাফরা গ্রাহক থেকে বিনিময় বা সুযোগ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। জায়গা বিশেষ কোথায়ও কোথায়ও গ্রাহক থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রিপেইড মিটার সংযোগে চরম হয়রানি হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা। 

অনেকে বিদ্যুৎ বিল দিতে দিতে পথের ফকির হয়ে গেছে। প্রিপেইড মিটারে টাকা কাটার বিষয়টি একটা সমাধানে আসা উচিৎ বলে মনে করেন ভুক্তভোগি গ্রাহকেরা। এসব বিষয়ে কোন অভিযোগ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে তারা বলেন আগে বিল পরিশোধ করে আসেন তার পর আপনার সমস্যা সমাধান হবে।এধরনের কথা বললে তাদের কাছে গ্রাহক যাকে কি করে।

বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন গ্রাহকদের সমস্যাগুলো সমাধানে আশ্বাস প্রদান করে বলেন, প্রকৃত হতদরিদ্র গ্রাহকদের কিলোওয়াট প্রয়োজন অনুসারে কমানো হবে এবং মোবাইল ব্যালেন্স দেখার প্রযুক্তি উন্নত করতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করা হবে। তবে সঠিক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন তিনি। এধরনের শত’ শত’ অভিযোগ প্রকৌশলীর কাছে গিয়েছে তিনি কাউকে কোন সুরাহ দিতে পারেনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সুজন রাঙামাটি জেলা সভাপতি এ্যাড. দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা, সুজন রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক এম জিসান বখতেয়ার, পলাশ কুসুম চাকমা, শংকর হোড়, ইন্দ্র দত্ত তালুকদার, মো. এরফানুল হকসহ বিভিন্ন শাখার আরো অনেকে।

আরবি/জেডআর

Link copied!