বরগুনা শহেরর শেরেবাংলা সড়ক (ফার্মেসী পট্টি) সড়কের দুপাশ ধরে যত্রতত্র মোটরসাইকেল পার্কিংয়ে নাকাল সড়কটিতে চলাচলকারী। সড়কটির দুপাশ ধরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল রেখে সড়কে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভ ও তাদের সহকর্মীরা। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও মিলছে না সুফল।
বিশেষ করে ডাক্তারের কাছে আসা রোগী ও স্বজন এবং সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যাতায়াতে হতে হয় চরম ভোগান্তির শিকার। এই সড়কে যানজটে ব্যবসায়িরাও হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। বিষয়টি দ্রুত নিরসনের দাবি ব্যবসায়ীসহ বরগুনাবাসীর।
সকাল থেকে বরগুনায় কর্মরত বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভরা ফার্মেসী পট্টি ও আশেপাশের সড়কের দুই ধারে মোটরসাইকেল রেখে উধাও হয়ে যায়। দোকান ও সড়কের পাশে মোটরসাইকেল রাখায় বিভিন্ন সময় যানজট লেগে গেলে প্রতিবাদ করবে এমন মানুষটি খুঁজে পাওয়া যায়না। সারাদিন বিভিন্ন ফার্মেসী ও ডাক্তারের পিছনে ছুটতে থাকায় পাওয়া যায়না রিপ্রেজেনটেটিভদের। ফলে ভোগান্তির শিকার তারাও বলতে পারেনা কিছু তাদেরকে। এখানকার ব্যবসায়িরা বলছেন সড়কটিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ চালু করা জরুরি।
রাসেল নামের এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, সকালে এসেই যে যার মতন করে মোটরসাইকেল রেখে উধাও হয়ে যায় তারা। এদেরকে নিষেধ করলেও কোন কর্নপাত না করে মোটরসাইকেল রেখে চলে যায়। এদের এই ভাবে মোটরসাইকেল রাখায় দোকানের সামনে সব সময় লেগে থাকে যানজট। ফলে বেচা বিক্রি হয়না বললেই চলে। রোগী ও স্বজনরা এদিক থেকে ঔষধ না কিনে অন্যত্র চলে যায়। এটি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
নুর আলম নামে এক পান সিগারেট বিক্রেতা বলেন, রিপ্রেজেনটেটিভদের মোটরসাইকেল রাখার কারণে মানুষ জন স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারেনা। বেশী সমস্যায় পড়ে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। স্কুল শুরু ও ছুটি হলে লেগে থাকে দীর্ঘ সময় ধরে যানজট।
আবুল হোসেন নামে একজন পথচারী জানান, বরগুনায় দুইশোর উপরে আছে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভ। এরা সকাল থেকে রাত নয়টা দশটা পর্যন্ত ফার্মেসী পট্টি, নেতা পট্টি, দুধ পট্টি ও বালিকা বিদ্যালয় সড়কের দুই পাশ ধরে মোটরসাইকেল পার্কিং করে রাখে। এসকল সড়কে মানুষজনকে রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলাচল করতে হয়। রিকশা ও অন্য সকল যানবাহন চলাচল করতে পারেনা স্বাভাবিক ভাবে। ফলে দূর্ঘটনার শিকার হতে অনেককে। এজন্য এই এলাকায় জরুরি হয়ে পড়ছে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ চালু করা।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আ. হালিম বলেন, সড়ক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মোটরসাইকেল পার্কিং করার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বরগুনা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার উপপরিচালক তানজিম আহমেদ বলেন, শেরেবাংলা সড়কসহ আশপাশ এলাকায় ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভরা মোটরসাইকেল পার্কিং করায় এসকল এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে যানজট লেগে থাকে। জনগণ ও ব্যবসায়ীদের পড়তে নানান দুর্ভোগে। সকলের দুর্ভোগ এড়াতে অভিযান পরিচালনা করে নিরসন করা হবে যত্রতত্র মোটরসাইকেল পার্কিং।
আপনার মতামত লিখুন :