বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম

ভাঙা রাস্তায় দুর্ভোগে চরাঞ্চলবাসী

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম

ভাঙা রাস্তায় দুর্ভোগে চরাঞ্চলবাসী

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের জিনারী ইউনিয়নের হোগলাকান্দি ভোটের বাজার হতে চরকাটি হারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।

গত কয়েকদিনে ভারী বর্ষণে রাস্তার কিছু অংশ গর্ত হয়ে পুকুরে নেমে যাওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চরকাটি হারী ,চর হাজিপুর, নাককাটার চর সহ শত শত মানুষ চলাচল করে। ওই এলাকাগুলো সবজি উৎপাদিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত শাকসবজি, ফসল বিভিন্ন হাটবাজারে সরবরাহ করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। পাশাপাশি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরাও এ রাস্তায় চলাচলে অসুবিধা সম্মুখীন হচ্ছে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। তাই দ্রুত সময়ে রাস্তাটির সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোড়ালো দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে শনিবার (১৯ অক্টোবর ) দেখা যায়, রাস্তাটির অর্ধেকের ও বেশি অংশ ধসে পড়েছে। রাস্তাটির বর্তমান প্রস্থ ৩ ফুটের চেয়েও কমে এসে ঠেকেছে। আগে এই রাস্তা দিয়ে অটো, রিক্সা, সিএনজি সহ গুরুত্বপূর্ণ যানবাহন চলাচল করলেও এখন মোটর সাইকেল এ যাতায়াত ও কঠিন হয়ে পড়েছে ৷

চরকাটি হারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরব আলী বলেন, দিন যতই যাচ্ছে ততই এই রাস্তাটির অবস্থা আরো করুণ হচ্ছে। প্রতিদিনই রাস্তার কোনো না কোনো অংশ পুকুরের পেটে যাচ্ছে। এতে করে রাস্তাটি দিন দিন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। 

মুক্তিযোদ্ধা আ. খালেক বলেন, আগে এই রাস্তা দিয়ে অটোরিকশা, রিকশা চলাচল কর‍তো, কিন্তু রাস্তা এসব যানবাহন চলাচল করতে পারছে না৷ ফলে পাড়ায় শাকসবজি ও ফসল আনা নেওয়া করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বহু শাকসবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

অটো চালক সাদেক জানান, বিকল্প রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এই অঞ্চলের মানুষের জন্য এটিই একমাত্র চলাচলের রাস্তা। বৃষ্টিতে রাস্তা ভেঙে দুর্ভোগ বেড়েছে৷ 

উপজেলার এলজিডি প্রকৌশলী গালিব মোর্শেদ বলেন, দ্রুত সময়ে গর্তটি ভরাট করার ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীতে পুকুর পাড়ে স্পেলাপাইলিং দিয়ে পুনঃসংস্কার করার আশ্বাস দেন তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল জানান, অচিরেই এ রাস্তা নির্মাণ করে জনদুর্ভোগ লাঘবে চেষ্টা করা হচ্ছে।
 

আরবি/জেডআর

Link copied!