শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০৭:২২ পিএম

শীতে কাবু গাইবান্ধার ৩১ চরাঞ্চলের মানুষ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০৭:২২ পিএম

শীতে কাবু গাইবান্ধার ৩১ চরাঞ্চলের মানুষ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

শীতে কাবু গাইবান্ধার সাত উপজেলার নদী বেষ্টিত সাঘাটা ,ফুলছড়ি ,সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার অন্তত দেড় লাখ মানুষ। কয়েকদিন ধরে সুর্য্যের দেখা মিলছেনা। রোদ না ওঠায় শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার তিস্তা যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর ১শ ৬৫ টি চরাঞ্চলের মানুষ । শহরের জীবন যাপন ও খেটে খাওয়া মানুষ কাজকর্ম করতে পারছে না। দিন মজুর, ধান কাটা মাড়াইয়ে নিয়োজিত কামলা ও বীজতলা বপনেরর কাজ প্রচন্ডভাবে ব্যহত হচ্ছে। কামলারা শীতের তীব্রতার কারনে কৃষিকাজ করতে পারছেনা । গ্রামের বাড়ি বাড়ি রাত দিন ঘর থেকে বের হতে পারছেনা দরিদ্র শীতার্ত মানুষ। বিশেষ করে গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর চরাঞ্চল হরিপুর, বেলকা, কাপাসিয়া, শ্রীপুর, লালচামার, উজান বুড়াইল, ভাটি বুড়াইল, পোড়ার চর, বাদামের চর, ছেড়িমারার চর, কামারজানি, রসুলপুর, হাসধরা, চিথুলিয়ার দিগর, মোল্লার চর, কড়াইবাড়ি, মাইজবাড়ি, কঞ্চিপাড়া, চর কৃষনো মনি, চর গুপ্তমনি, সন্নাসির চর, উড়িয়া, রতন পুর, সিংগিজানিসহ অন্তত ৩১টি চরের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ শীতের তীব্রতার কারনে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা । শীত নিবারনের জন্য এসব চরাঞ্চলের মানুষ জোট বেধে বা নিজের বাড়িতে দিন রাত খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।

মোল্লারচরের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান জানান, তার ইউনিয়ন জুড়ে অভাবী ও নদী ভাঙা মানুষের বসবাস। তারা সবাই অন্যের জমিতে কামলা দেয়। কিন্তু শীতের তীব্রতায় এসব লোকজন এখন ঘরবন্দি জীবন যাপন করছেন।

কড়াইবাড়ির চরের বাসিন্দা হায়দার আলী বলেন, বাবা শীতের কারনে ঘরেও থাকা যায় না । ঘন কুয়াশা শুরু হলে টপটপ করে গায়ে পানি পড়ে । তাই তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে কাঁথা মুড়ি দিয়ে খড়ের বিছানায় শুয়ে বসে রাত কাটাতে হয়। সন্ধ্যা ও সকালে শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে বাড়ির মধ্যে খরকুটো জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নেই।

কয়েকদিন ধরে ঘর বন্দি হাসেন আলী বলেন, মানুষের এতো টাকা । দানশীর মানুষ এসে দেখুক আমরা ক্যামন অবস্থায় রাত দিন কাটাই । ভোটের সময় এলে অনেক আশ্বাশ দেন কিন্তু তারা কথা দিয়ে কথা রাখেনা। কম্বল এলে তারা তাদের নিজের স্বজনদের বাড়িতে রাতারাতি পৌছে দেয়। আর গরীব মানুষ ঠান্ডায় কাহিল হয়ে খরকুটো জ্বালিয়ে আগুনের তাপের অপেক্ষায় থাকে।

আরবি/জেডআর

Link copied!