বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২৫

কুড়িগ্রামে লাগাতার শীতে চরম দুর্ভোগে জনসাধারণ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম

কুড়িগ্রামে লাগাতার শীতে চরম দুর্ভোগে জনসাধারণ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী প্রান্তিক জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ। সেই সাথে উত্তরীয় হিমেল বাতাসে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে শীতের দাপট। এ অবস্থায় কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে জেলার খেটে-খাওয়া, দিনমজুর, নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ভোরে পেটের দায়ে মিশুক নিয়ে বেরিয়েছে নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দের শফিকুল ইসলাম (৪৮)।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, "ঠান্ডাত খাটি খাওয়া মানুষের মহা বিপদ। গাড়িত চইড়লে গার কাঁপনি ধরে। ভাড়াও মেলে না। সইন্দে থাকি সকাল পর্যন্ত সমান ঠান্ডা।"

অন্যদিকে লাগাতার শীতে কাবু হয়ে পরেছে জেলার ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদের অববাহিকায় বসবাসকারী পাঁচ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষ। অব্যাহত ঘন কুয়াশায় হিম জমে নষ্ট হয়েছে এসব এলাকার বিঘা বিঘা জমির খেসারী কালাই ও মুষড়ি কালাই খেত।

ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় বসবাসকারী যাত্রাপুরের মাঝেরচর এলাকার কৃষক শাহ আলম বলেন, "ধারদেনা করে দেড় বিঘা জমিতে মুশড়ি কালাই ও এক বিঘা জমিতে খেসারী কালাই লাগিয়েছি। কয়েকদিনের টানা কুয়াশায় হিম জমে বাড়ন্ত কমে গিয়ে ছোট ছোট কালো কালো ঘুনচি পোকা ধরেছে। এতে অন্তত ৫০ শতাং ফসল নষ্ট হয়েছে।"

তবে এখন পর্যন্ত নতুন কোন শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাসের সংবাদ তাদের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়  রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, "দিনে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সেই সাথে হিমালয়ের হিমেল বাতাসে দূর্ভোগে রয়েছে মানুষ। এখন পর্যন্ত শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাস নেই, পেলে জানানো হবে।"

আরবি/জেআই

Link copied!