আগ্রহায়নের মাঝামাঝি এসে হিমালয়ের নিকটবর্তী উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে ঘনকুয়াশার সাথে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন। জেলায় জুড়ে বরফ ঝরা শীত অনুভূত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, জেলার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে নিম্নগামী হচ্ছে। এখন ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়ছে। ভোর পর্যন্ত ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। সকাল থেকে রোদ কিছুটা উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে আবারও শীতার্ত বাতাস বইছে। এতে কয়েকদিন ধরে হিমেল হওয়ার সঙ্গে জনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এদিকে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কনকনে ঠান্ডায় চরম বিপাকে পরছেন খেটে-খাওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
কুড়িগ্রাম সদরের ভগবতীপুরের শাহ আলম জানান, কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই ক্ষেতমজুররা ধান কাটছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, তার ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষই খেটে-খাওয়া দিনমজুর। তাদের অনেকেরই শীত বস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় কাবু হয়ে পরেছে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষ।
আবহাওয়া কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, `কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী। ডিসেম্বর মাসে জেলা জুড়ে দুই-তিনটা শৈত্য বয়ে যেতে পারে।`
আপনার মতামত লিখুন :