বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ১২:৪০ পিএম

তীব্র শীতে নাজেহাল কুড়িগ্রামের মানুষ, দেখা নেই সূর্যের

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ১২:৪০ পিএম

তীব্র শীতে নাজেহাল কুড়িগ্রামের মানুষ, দেখা নেই সূর্যের

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের কারণে হাত-পায়ে কাঁপন ধরেছে। চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামে এমন ঠান্ডা আর অনুভুত হয়নি বরে জানিয়েছেন জেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা লুৎফর (৬৫) ও মজিবর (৭৩)। তারা পেশায় মাটি কাটা কামলা। জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে প্রতিদিন খুব সকালেই তাঁদেরকে ঘর ছেড়ে বের হতে হয়। দুজনার হাতে ব্যাগে করে টিফিন বক্সে দুপুরের খাবার নিয়ে চলছেন কাজের স্থলের দিকে।

তারা বলেন, এমন ঠান্ডায় বার্ধক্য নিয়ে কাজ করার মতো শক্তি পাই না। কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা টাডায়। কোদাল ধরতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু কাজ না করলে কী খেয়ে বাঁচবো।

দিনমজুর লুৎফর ও মজিবরের মতো খেটে-খাওয়া অনেক মানুষের মুখেই শীতের তীব্রতার কথা শোনা যাচ্ছে। তবে নিম্ন আয়ের কেউ কেউ এই শীতকে "অসহনীয়" বলছেন। একই দিন জীবিকার সন্ধানে ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে জেলা শহরমুখী কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার আব্বাস আলী (৭০)।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, "ঠান্ডায় শরীর কাঁপছে বাবা! কয়েকদিন ধরে যে ঠান্ডা পরছে তা আর সহ্য করা যাচ্ছে না! ঠান্ডায় ভাড়াও ঠিকমতো মিলছে না! তিনবেলার খাবার যোগানো মুশকিল হচ্ছে!"

জেলার রাজারহাট আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৮-১০ কিলোমিটার। আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। কয়েকদিন ধরে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির মধ্যেই অবস্থান করছে। তাপমাত্রা খুব একটা না কমলেও কয়েকটি কারনে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। পুরো জানুয়ারি মাসজুড়েই শীতের এমন অনুভূতি থাকতে পারে।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার রূপালী বাংলাদেশকে  বলেন, তাপমাত্রা এখনো অস্বাভাবিক নয়। তবে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় তীব্র ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে। সে-সঙ্গে আকাশে মেঘের উপস্থিতি ও ঘন কুয়াশার কারনে সূর্যের দেখা না মেলায় দূর্ভোগ বেড়েছে মানুষের।

এ পরিস্থিতিতে বেশী দূর্ভোগে রয়েছেন জেলার সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্ট ভুগছেন তারা। দূর্ভোগ বেড়েছে শিশু ও বয়স্কদেরও।

যাত্রাপুর ইউনিয়নের মাঝের চর এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম বলেন, ঠান্ডায় ঠিক মতো কাজ কাম মিলছে না। গরম কাপড় না থাকায় তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার খেটে খাওয়া মানুষ। জরুরি ভিত্তিতে এ এলাকায় শীতবস্ত্রের প্রয়োজন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, শীতার্তদের জন্য মোট ১২ হাজার কম্বল ও ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তারমধ্যে ২৭ লাখ টাকার শীতবস্ত্র ও ১২ হাজার কম্বল বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট টাকারও শীতবস্ত্র বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে।

আরবি/জেআই

Link copied!