বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দেখে, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ভুটিয়া গ্রামে বিরল রোগে আক্রান্ত সেই পরিবারের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, মানবিক ডাক্তার হিসাবে পরিচিত; বিএসএমএমইউ (সাবেক পিজি হাসপাতাল) এর সহযোগী অধ্যাপক (সার্জারি বিভাগ) ডা. বিদ্যুৎ চন্দ্র দেবনাথ। শনিবার তিনি কয়েকজন চিকিৎসক ও মেডিকেল এসিস্ট্যান্টদেরকে সাথে নিয়ে, ভুটিয়া গ্রামের সেই বাড়িতে যান।
পরিবারের খোঁজ খবর নেন। বিরল রোগে আক্রান্ত সকলের সাথে আলাদা আলাদা কথা বলেন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
ডা. বিদ্যুৎ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, প্রাথমিকভাবে, অল্প বয়সেই রোগাক্রান্ত হতে শুরু করা আমিনুল ইসলাম (১৪), সুমাইয়া খাতুন (১৬) এবং মো. সিফাত (২০) কে তিনি বিনা খরচে বিএসএমএমইউ`তে পরিক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা করাতে চান। চিকিৎসায় সফলতা পেলে, পরিবারে আক্রান্ত অন্যদেরকেও ঢাকায় নিয়ে যাবেন।
তিনি আরো বলেন, এই রোগ নিয়ে আমি ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছি। রোগ নির্ণয় করা গেলে এই পরিবারকে রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারবো। এই রোগটি আমার কাছে খুবই বিরল মনে হচ্ছে, রেয়ার ডিজিস। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হয়তোবা এটাকে থিসিসের পার্ট হিসেবে নিয়ে নিতে পারে
এসময় তারসাথে ছিলেন ডা. আনিসুর রহমান, উপজেলা জাসাসের সভাপতি শাহনূর আহমেদ সোহাগ, স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, বংশগত বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন একই পরিবারের ৫-৬জন। এছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ঔ বংশের ৯জন ব্যক্তি অকাল মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানা গেছে। রোগটির কারণে হাত-পা সহ শরির কাঁপা, হাঁটতে না পারা, গাড় সোজা করতে না পারা, লালা পড়া, কথা বলতে না পারাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় আক্রান্তদের শরিরে। টাকা না থাকায় তাদের যেমন হচ্ছেনা চিকিৎসা, তেমনি অর্ধাহার, অনাহারে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :