সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জেরে বগুড়ায় কবি সুলতান স্যান্নালের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাকে উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় লেখক চক্রের সভাপতিসহ ছয় জনের নামে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ করেছেন কবি সুলতান স্যান্নাল। তবে হামলার সঙ্গে জড়িত নন বলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন লেখক চক্রের সভাপতি।
সোমবার বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মইনুদ্দীন জানান, মারপিটের ঘটনার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে রোববার রাত ১০টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথার টেম্পল রোডস্থ উদীচী কার্যালয়ের সামনে কবি সুলতান স্যান্নালের উপর হামলা চালানো হয়। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার উত্তর শ্যামপুরের তজমাল হকের ছেলে। সুলতান হোসেন পাঠক মহলে সুলতান স্যান্নাল নামেই পরিচিত।
বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগে রফিকুল ইসলাম রফিক ও সাফোয়ান আমিনসহ ৪/৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
হামলার শিকার কবি সুলতান স্যান্নাল জানান, ইসলাম রফিক নামে পরিচিত রফিকুল গত ১৬ বছর ধরে বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতির পদ দখল করে রেখেছেন। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় আবারও একইভাবে সভাপতির পদ ধরে রাখার অপচেষ্টা করছেন। এনিয়ে সুলতান স্যান্নাল ফেসবুকে বগুড়া লেখক চক্র সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত লিখে পোস্ট করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে ফেলে রেখে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুলতান স্যান্নাল বলেন, হামলার আগে তিনি কবি-সাহিত্যিক বন্ধুদের সাথে বগুড়া খোকন পার্কে আড্ডা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। উদীচীর সামনে পৌঁছিলে বিবাদীরা তাকে পেছন থেকে ডাক দেয়। লেখক চক্র নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস এবং একজনের স্ট্যাটাসে মন্তব্যের জের টেনে কিছু বুঝে উঠার আগেই কবি সুলতান স্যান্নালের উপর হামলা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, সুলতান স্যান্নালের উপর হামলা বা মারপিটের ঘটনা তার জানা নেই। ঘটনাস্থলে ছিলেন না, তিনি নির্দোষ। রাত ১১টা পর্যন্ত তারা এক কবির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :