ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
পরিদর্শন শেষে ইউএনও

কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি ভাংচুর-লুটের ঘটনা গুজব

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম

কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি ভাংচুর-লুটের ঘটনা গুজব

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা প্রখ্যাত কবি ও উপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মভিটা ডাসার কাজী বাকাই ইউনিয়ন মাইজপাড়া গ্রামের বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি বলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে এতথ্য জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশের নেতৃত্বে একটি টিম সরেজমিন ঘুরে এতথ্য নিশ্চিত করেন। এসময় তার সঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোসাঃ মাহবুবা ইসলাম, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক সোহেল হাওলাদার প্রখ্যাত কবি ও ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি দখল, ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সংবাদ প্রকাশের পরপরই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘটনা তদন্তের জন্য সরেজমিন পরিদর্শন করেন ইউএনও। পরিদর্শন শেষে ওই ঘটনার সত্যতা না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হন ইউএনও। তবে ওই সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই আতঙ্কে অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদার আত্মগোপন করেন।

অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদারের ছোট ভাই ইউপি সদস্য ওয়াশিম হাওলাদার জানান, কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি দখল, ভাংচুর বা লুটপাটের কোন চিহৃ পাননি ইউএনওসহ সকল প্রশাসনের দায়িত্বকারী। আমার ভাই সোহেল হাওলাদার ঘরের বারান্দায় বসে ওএমএস এর কিছু চাল বিতরন কার্যক্রম করেছিলেন। তাতে কিছু কুচক্রী মহল অপপ্রচার ছড়িয়েছে যে আমার ভাই ওই ঘর দখলে নিয়েছে। তবে কবির বাড়ির জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এর সুত্র ধরে একটি কুচক্রী মহল সংবাদ কর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আমি তিব্র নিন্দা জানাই।

প্রতিবেশী ছালমা বেগম জানান, কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি জমি নিয়ে আমার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। ওই বাড়ির মধ্য আমার পৈত্রিক অনেক জমি রয়েছে। আমাদের জমি আমরা বুঝে পাইনি। এই জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সোহেলকে জরিয়ে এই অপপ্রচার করা হয়েছে।

ডাসার থানার ওসি এসএম সফিকুল ইসলাম জানান, কবির বাড়ি নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর মূল ঘটনা জানার জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কুমার দাশ জানান, আমি কবির বাড়ি নিয়ে সংবাদ দেখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে তেমন কোন আসবাপত্র, বাড়ি ভাংচুর বা লুটের আলামত পাওয়া যায়নি। তার ঘরের ভেতরে একটি ভাঙ্গা পুরানো খাট পড়ে আছ। কিছু বই আমরা আগেই সংরক্ষণ করে রেখে দিয়েছি। আমরা কবির ঘরটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি অনেক আগেই। দখলের কোন বিষয় নেই। ঘরের চাবিটা আমাদের কাছে গচ্ছিত আছে। ঘটনাটি সঠিক না।

আরবি/জেডআর

Link copied!