কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গলায় জুতার মালা দিয়ে আবদুল হাই কানু নামের বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তা করার ভিডিও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে ৭ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার এড়াতে আগেই জড়িতরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আক্তারুজ্জামান।
এদিকে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা নেতারা।
ওই মুক্তিযোদ্ধা কোথায় আছেন তাও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে তার পরিবার জানিয়েছে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় অজ্ঞাত স্থানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশের তথ্য মতে, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ আসায় পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে বিষয়টি তদন্ত ও মাঠে অভিযান চালাচ্ছে একাধিক টিম।
স্থানীয় সূত্র বলছে, মুক্তিযোদ্ধা কানু ছিলেন উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ২০১৬ সালে যুবলীগ নেতা রানা হত্যা মামলায় তিনি (কানু) ও তার ছেলে বিপ্লব ছিলেন চার্জশিটভুক্ত আসামি।
এ মামলায় কানু গ্রেপ্তারও হন। এলাকার লোকজনের সঙ্গে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি। এছাড়াও ঘটনার পর থেকে এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন ভয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছেন না।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত করা স্পর্শকাতর বিষয়। এমন ঘটনা জামায়াত সমর্থন করে না। কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে জামায়াতকে জড়িত করা হচ্ছে। এতে জামায়াতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :