ঢাকা শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৪

স্কুলছাত্রীকে নিয়ে উধাও পুলিশ কনস্টেবল, মামলা দায়ের

জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম

স্কুলছাত্রীকে নিয়ে উধাও পুলিশ কনস্টেবল, মামলা দায়ের

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক স্কুলছাত্রীকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর অভিযোগ উঠেছে সুমন হোসেন (২৬) নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত কনস্টেবল সুমন হোসেনের স্ত্রী থাকা সত্বেও রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকা অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা বলেন, যশোর সদর উপজেলার জগতনাথপুর গ্রামের ইউনুস খানের ছেলে সুমন হোসেন পুলিশ কনস্টেবল হিসাবে রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে চাকরি করে। এসময় আমার কন্যার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সুমন হোসেনর বাড়ীতে স্ত্রী রয়েছে। তারপরও আমার মেয়ের কাছে বলে তার বিয়ে হয়নি। ঘটনাটি আমরা জানতে পেরে জীবননগর থানায় অভিযোগ করি। ঘটনার ১০-১২ দিন আগে তাকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে বদলি করে। সেখান থেকে আবার জামজামি পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি হয়। কয়েক দিন আগে তার র‌্যাবে বদলি করা হয়। কিন্তু সে র‌্যাবে যোগদান না করে আমার মেয়েকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাস্তা থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর আমরা গোপনে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করি। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমনের বাড়ীতে মেয়ের কোনো হদিস না পাওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই ঘটনার ৫ দিন পর মামলা দিতে হয়েছে।

রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি নাবালিকা স্কুলছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক হওয়ায় পারিবারিকভাবে গোপনে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেন ও স্কুলছাত্রী কোনো খোঁজ না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেনের সঙ্গে যোগাযোদের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস, এম জাবিদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর কয়েকদিন ধরে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করেও তাদের কোনো সন্ধান পায়নি। শেষ পর্যন্ত ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!