মানিকগঞ্জ জেলা ট্রাফিক বিভাগের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্টিকার দিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ট্রাফিক ইনচার্জ কে এম মেরাজ মানিকগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই জেলার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী সিএনজিতে সামনের গ্লাসে সচেতনামূলক স্টিকার সাটিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে আসছেন তার নিজস্ব ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ও সোর্সরা।
জেলা শহরের তিল্লি, গড়পাড়া, হরিরামপুর ঝিটকা বাজার, সাটুরিয়া, সিংগাইর ও হেমায়েতপুর অভিমুখীসহ সাত উপজেলার বিভিন্ন রোডে সিএনজি সমূহের সামনের গ্লাসে তাকালে দেখা যায় প্রত্যেকটি গাড়িতে সাঁটানো রয়েছে জনসচেতনতামূলক ছোট ছোট স্টিকার। এসব স্টিকারে লেখা রয়েছে- ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না, গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচানসহ একাধিক সচেতনতামূলক কথা।
সিএনজি চালকদের বরাতে জানা যায়, লাইসেন্সসহ, লাইসেন্স বিহীন ও বিভিন্ন রুটের দুরত্ব ও গুরুত্ব অনুযায়ী এই চাঁদার টাকা কম বেশী নির্ধারণ করা হয়। প্রকার ভেদে, এসব সিএনজি থেকে মাসে ৩শত থেকে ১হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে থাকেন এই বিভাগ। জেলায় ট্রাফিক পুলিশ লাগামহীন চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি সিএনজি রাস্তায় নামলেই জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই)’র নিকট ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি করাতে হয়। তারপর আরেক দফায় ভর্তি হতে হয় বিভিন্ন উপজেলা মালিক সমিতির কাছে। শহর থেকে হরিরামপুর ঝিটকা বাজার ও সিংগাইর রুটে মাসে দিতে হয় ৬ শত থেকে ১ হাজার টাকা। তিল্লি, গড়পাড়া ও সাটুরিয়া রুটের সিএনজি চালকদের মাসে দিতে হয় ৩ শত থেকে ৫ শত টাকা।
রফিক, মিঠুন, সানোয়ারসহ কয়েকজন আরো বলেন, মানিকগঞ্জ জেলায় আনুমানিক ১ হাজার সিএনজি বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। এর মধ্যে অধিকাংশই লাইসেন্স বিহীন তাই সিএনজি মালিক সমিতির নেতাদের মাধ্যমে মাসে মাসোহারা দিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে চলাচল করতে হয়। সেই হিসেবে প্রতি মাসে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা আমরা পুলিশকে দিয়ে থাকি। তবে ভাই আমাদের নাম প্রকাশ করলে আমরা মানিকগঞ্জ আর গাড়ী চালাাতে পারবোনা। আমরা যে কতটা অসহায় পুলিশ ও তাদের দালালদের কাছে তা আপনাদের বলে বোঝাতে পারবনা!
এ বিষয়ে ট্রফিক পুলিশ পরির্দশক (প্রশাসন) কে.এম মেরাজ উদ্দিন এই প্রতিবেদককে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তিনি পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
তবে এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান বলেছিলেন, আমি কখনও এমনটা শুনিনি এ বিষয়ে সিএনজি চালকেরা যদি কোন অভিযোগ দেয় তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :