ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

স্কুলশিক্ষার্থীর মুখচ্ছবি ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও, অতঃপর

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম

স্কুলশিক্ষার্থীর মুখচ্ছবি ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও, অতঃপর

ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে তিনজনের গ্রুপে একটি পর্নো ভিডিও দেখে হতবাক হয়ে যান এক শিক্ষক মা। শ্বেতাঙ্গ এক নারীর মুখে তাঁর মেয়ের মুখের ছবি ব্যবহার করে ভিডিওটা তৈরি করা হয়েছে। এই গ্রুপের তিনজনের একজন তিনি, আরেকজন তাঁর সহকর্মী এবং তৃতীয় ব্যক্তি হচ্ছে ভিডিও প্রেরণকারী।

গ্রুপে মেসেজ দিয়ে বলা হয়,২০ লাখ টাকা না দিলে এই ভিডিও ‘ভাইরাল’ করে দেওয়া হবে। ঘটনাটি ৮ জানুয়ারির টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার। এরপর দুই দিনে বিভিন্ন গ্রুপে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

এভাবে ওই উপজেলার ছয় স্কুলশিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষকের স্ত্রীর মুখের ছবি ব্যবহার করে একাধিক পর্নো ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে চারটি ভুক্তভোগী পরিবার থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছেন।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম রেজাউল করিম স্কুলছাত্রীদের ছবি ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও করার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভুক্তভোগীদের মধ্যে চারটি পরিবার থানায় এসেছে। তারা জিডি করেছে। এর ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে তিনটি ছেলেমেয়েকে পরিবারসহ থানায় ডেকে আনা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের মুঠোফোন পরীক্ষা করে কিছু পাওয়া যায়নি। এর জন্য ফরেনসিক পরীক্ষার প্রয়োজন। আর এটি করতে হলে মামলা লাগবে। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবারগুলো ‘মানসম্মান হারানোর’ ভয়ে মামলা করতে রাজি নয়। সে ক্ষেত্রে ঘটনাটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা কী হবে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নজরে রাখছি।’

আরবি/এস

Link copied!