বগুড়ায় পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির পক্ষে পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে গ্রামভিত্তিক গণযুদ্ধ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে। পোস্টারিংয়ে কারণে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে পুলিশ বলছে, আতঙ্কের কিছু নেই তারা প্রতি বছরই এ ধরনের পোস্টারিং করে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়ে থাকে। গত ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার জেলার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে সর্বাহার পার্টির পোস্টারিং দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর শীত মৌসুমে ভবানীপুর বাজার এলাকায় সর্বহারা পার্টিল তৎপরতা দেখা যায়। তারা এ ধরনের পোস্টারিং করে অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছে থেকে গোপনে মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে থাকে। এ ছাড়া তারা ডাকাতিও করে থাকে। গত দুই সপ্তাহ আগেও ভবানীপুরে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সর্বহারাদের তৎপরতার কারণে গত কয়েক বছর আগে ভবানীপুর বাজারে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। কিন্তু তারপরও সর্বহারা পার্টির তৎপরতা থামানো যায়নি।
ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দারা আরও জানান, এদিন সকালে ভবানীপুর বাজারে এসে বিভিন্ন দোকানের দেয়ালে পোস্টার দেখতে পান। পোস্টারের লেখা দেখে গ্রামের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে লেখা, ‘সর্বহারা পার্টির জাতীয় কংগ্রেস ২০২৪’-এর ডাক, মার্কিন ও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের দালাল ও সেনা-এনজিও-বুদ্ধিজীবী-বড় ধনীদের অন্তবর্তী সরকার, শ্রমিক-কৃষক-সাধারণ জনগণের সরকার নয়, বিপ্লবী গণক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লড়াই অব্যাহত রাখুন।’ মাওবাদীগণ, ঐক্যবদ্ধ হোন! পূর্ব বাংলার মাওবাদী আন্দোলনের ৫-দশক অভিজ্ঞতার সারসংকলন করুন! গ্রামভিত্তিক গণযুদ্ধ গড়ে তুলুন! মার্কিন, চীন, রাশিয়া, ইইউসহ সব সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক! ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ-নিপাত যাক! মাওবাদ-জিন্দাবাদ! নয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব-জিন্দাবাদ! গণযুদ্ধ জিন্দাবাদ! কেন্দ্রীয় কমিটি, পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি।
ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোলজার হোসেন, আলমগীর হোসেন ও সাগর বলেন, ভবানীপুর বাজারে চা পান করতে এসে বিভিন্ন দোকানের দেয়ালে পোস্টার দেখতে পারি। পোস্টারের লেখা দেখে গ্রামের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ভবানীপুর সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। ওই সব এলাকা থেকে এসে ভবানীপুর বাজারে এ ধরনের পোস্টারিং করা হয়। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়ে। যারা পোস্টারিং করেছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :