বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ও ক্রেতাদের হাতে ন্যায্যমূল্যে আলু তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ৫০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে কালাই উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর ) সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা কৃষি অফিস এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে "ছাত্র- কৃষক কর্ণার" এর ব্যানারে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে ন্যায্যমূল্যে আলু বিক্রির উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধের সামনে ন্যায্যমূল্যে আলু বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায়, উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. তানিম সরকার ও মো. মেফতাহুর রহমান মাহিরসহ আরও অনেকে।
ন্যায্যমূল্যে আলু কিনতে সকাল থেকেই ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে আলু কিনছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। বর্তমানে বাজারে আলুর কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা হলেও "ছাত্র- কৃষক কর্ণার" এ ন্যায্যমূল্যে ৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। একজন ক্রেতা ন্যায্যমূল্যে সর্বোচ্চ ৫ কেজি আলু ক্রয় করতে পারবেন। বাজারমূল্যের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে আলু কিনতে পেরে খুশি সাধারণ ক্রেতারা।
"ছাত্র- কৃষক কর্ণার" এ ন্যায্যমূল্যে আলু কিনতে আসা সাইদুল ইসলাম নামে এক ভ্যান চালক বলেন, বাজারে আলুর কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এজন্য আমি বাজারে আলু না কিনে এখানে আসছি কিনতে। কম দামে আলু বিক্রি করায় আমরা সাধারণ মানুষ অনেক খুশি। আলুর পাশাপাশি অন্যান্য সবজি যদি কম দামে পাওয়া যেত তাহলে আমাদের আরও উপকার হতো।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যে বাজার নিশ্চিতের লক্ষ্যে কালাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রির কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখানে ৫০ টাকা কেজি দরে আলু ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হবে। আমরা আশা করছি এই কার্যক্রম চলমান থাকলে বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে এবং আলুর দামে কমে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :