ঢাকা বুধবার, ০৮ জানুয়ারি, ২০২৫

চায়না কমলা চাষে প্রধান শিক্ষকের সাফল্য

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম

চায়না কমলা চাষে প্রধান শিক্ষকের সাফল্য

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছোট্ট ছোট্ট গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলছে হলুদ রঙের কমলা। প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ ধরেছে কমলা,গাছের ডাল গুলো নুয়ে পড়েছে মাটিতে। এ এক অন্যরকম দৃশ্য। নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় চায়না জাতের কমলার বাগান করেছে শিক্ষক খলিলুর রহমান। এমন দৃশ্য দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করছেন মানুষ। কয়েক বছর থেকে কমলা চাষ করে পরিচিতি লাভ করেছেন এই শিক্ষক। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামে সমতল ভূমিতে চায়না জাতের কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন শিক্ষক খলিলুর রহমান। তার কমলা বাগান দেখতে প্রতিদিনই পার্শ্ববর্তী উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দেখতে আসছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। বাগানের প্রতিটি গাছের প্রচুর পরিমাণে কমলা ধরেছে। চায়না কমলার পাশাপাশি নাগপুরি, দার্জিলিং চায়না থ্রি জাতের কমলার গাছও রয়েছে।

শিক্ষক খলিলুর রহমান উপজেলার মিলন বাজার মোজাম্মেল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি নীবিড় মমতায় কমলা চাষে নিজেকে সাফল্যের নজির স্থাপন করেছেন। যা এলাকার শত শত মানুষকে প্রেরণা যোগাচ্ছে। তার কমলা বাগান দেখে অনেকেই অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে কমলা চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

জানা গেছে, ২০১১ সালে এক বিঘা জমিতে দার্জিলিং জাতের কমলা চারার বাগান শুরু করেন। ৪ বছর পর ১৫২টি গাছে ফল আসে। এর পর ২০২০ সালে প্রায় এক একর জমিতে চায়না জাতের  ৪০০ কমলা গাছের বাগান তৈরি করেন। তিন বছর পর ২০২৪ সালের শেষের দিকে প্রতিটি গাছে আশানুরূপ ফল এসেছে। বর্তমানে কমলার রং হলদে আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত বাজারে কমলা বিক্রি করেছেন প্রায় লাক্ষাধিক টাকার। কমলা চাষে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।

স্থানীয় আনোয়ার হোসেন বলেন, কমলা বাগান আমাদেরকে গর্বিত করেছে। এতো সুন্দর একটি কমলা বাগান। এ বাগানকে ঘিরে একদিকে যেমন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে অপরদিকে আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। 

শিক্ষক খলিলুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন মজুমদার বলেন, শখের বসে শিক্ষকতার পাশাপাশি কমলা চাষে জড়িয়েছি। ২০১১ সালে কমলা বাগান করার পর থেকে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেয়েছি। তাদের সহযোগিতায় কমলা বাগানে সফলতা আসে।  অর্জন হয় জাতীয় কৃষি পুরস্কার। ফলে কমলা চাষে আরো আগ্রহ বেড়ে যায়।

শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, কমলা বাগান করার তিন বছর পর প্রচুর পরিমাণে কমলা ধরেছে। সকলেই উদ্যোগে কমলা বাগান করলে ফলের চাহিদা পূরণ হবে পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আপনারা বাগান দেখতে আসুন ফল ছেড়ে খান পাশাপাশি আপনারও বাগান করুন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, কমলা বাগানটি আমরা পরিদর্শন করেছি। বাগানে প্রচুর পরিমাণে কমলার ফলন হয়েছে। আমাদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষককে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও  সহযোগিতা করা হচ্ছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!