ঢাকা শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪

রাজনগর উপজেলা বিএনপির বিরোধের নিরসন

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম

রাজনগর উপজেলা বিএনপির বিরোধের নিরসন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দীর্ঘ দিন যাবত চলে আসা রাজনগর উপজেলা বিএনপির দ্বিধা বিভক্তির নিরসন করলেন নবগঠিত জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনসহ নেতৃবৃন্দ।

জানা যায়, এ উপজেলায় জেলা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জিতু মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মো. আব্বাস আলী মাষ্টার। এ কমিটি চলমান থাকলেও দলের একটি বৃহৎ অংশ কে নিষক্রিয় করে রাখা হয়।

এ অংশের নেতৃত্বে ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেকিম সুন্দর বক্স। কোন্দল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল দুটি অংশের নেতাদের কেউ কারও সাথে কথাবার্তা ছিল না। এমনকি মুখদেখাদেখি পর্যন্ত ছিল না। ফলে দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রাজনগর উপজেলা বিএনপি। এমন অবস্থা চলে আসায় সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নতুন কমিটির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন এর বাসভবনে বিবদমান দুটি পক্ষকে নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকে বসেন। বৈঠকে তিনি উভয় পক্ষের বক্তব্য দীর্ঘ সময় ধৈর্য সহকারে শুনেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাংগঠনিক দিক নির্দেশনার ওপর শ্রদ্ধাশীল থেকে যথাযথ ভাবে তা মেনে চলার জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।

বৈঠকে দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি উদ্দেশ্য জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করেছেন। আমি এ জেলা বিএনপির আহবায়ক এর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জেলা কৃষকদল,মহিলাদলের কোন্দল বিরোধ নিরসন করে ঐক্যবদ্ধ করেছি। এরই মধ্যে রাজনগর উপজেলা সহ জেলার অন্যান্য উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের দিয়ে সাংগঠনিক টিম গঠন করে দিয়েছি। কর্মী সভা আহবানের জন্য সভার তারিখ ও সময় বেঁধে হয়েছে। তিনি দলীয় নেতৃবৃন্দকে অতীতের দু:খ বেদনা ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নব উদ্যোমে ঐক্য বদ্ধ হয়ে দলের কাজ করে যেতে নেতাদের প্রতি আহবান জানান।

ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন-অতীতে যারা দলের জন্য জীবন বাজি রেখে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। দলের জন্য জেলে গেছেন। মামলা হামলার শিকার হয়েছেন। এসব ত্যাগী নেতৃবৃন্দের মাধ্যমেই দলের প্রতিটি স্তরের কমিটি গঠন করা হবে। ত্যাগী ও দুর্দিনের রাজপথের নেতৃবৃন্দদেরই কমিটিতে স্থান করে দেওয়া হবে। এতে কোনও স্বজনপ্রীতির আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। তিনি আরো বলেন-অতীত অতীতই। অতীতকে টানাটানি না করে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে তারেক রহমান এর ডাকে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে দলকে তৃণমূল থেকে শক্তি শালী করার অনুরোধ জানান। এ আহবানে উভয়পক্ষের নেতৃবৃন্দ খুশি হন এবং সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্য বদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন।

সভায় অংশ নেন- জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেলা কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, বিএনপির বর্ষিয়ান নেতা আব্দুল কাদির মিয়া,সাবেক মেম্বার মোস্তফা মিয়া,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. জিতু মিয়া, আশরাফুজ্জামান খান নাহাজ, রাজনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেকিম সুন্দর বক্স, এনামুল হোসেন চৌধুরী, আব্দুল মুত্তাকিন মুক্তা, জগলু তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী মাস্টার, নুরুল ইসলাম সেলন, সাবেক চেয়ারম্যান কবির মিয়া।

আরবি/জেডআর

Link copied!