রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব মহারাসলীলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার ১৫ নভেম্বর দুপুরে তুমুল হৈচৈ, আনন্দ-উৎসাহে ঢাক-ঢোল, খোল-করতাল আর শঙ্খ ধ্বনির মধ্য দিয়ে শ্রীকৃষ্ণ ও তার সখি রাধারলীলাকে ঘিরে এ উৎসব শুরু হয়। ছোট ছেলে-মেয়েরা রাখাল নৃত্য পরিবেশ করছে।
ভক্তবৃন্দ নৃত্যরত শিল্পীদের বাতাসা ও টাকা উপহার দেন। উৎসব উপলক্ষে নানা ঐতিহ্যবাহী সাজে মেতেছে মণিপুরীপাড়া। রাতভর বৈষ্ণব সাহিত্যের রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলার নৃত্যগীতাভিনয় রাসলীলার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। মূল রাসলীলা রাত ১১টা থেকে শুরু হয়ে পরদিন ভোর পর্যন্ত চলবে।
বাঁশ ও কাগজ কেটে বিশেষ কারুকাজে রাসের মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে বসে রাসধারী বা রাসের গুরু, সূত্রধারীরা ও বাদকরা।
পাশাপাশি তিনটি মণ্ডপে তরুণীরা রাসলীলায় অংশ নিয়ে থাকে। রাসের সাধারণ ক্রম হচ্ছে- সূত্রধারী কর্তৃক রাগালাপ ও বন্দনা, বৃন্দার কৃষ্ণ আবাহন, কৃষ্ণ অভিসার, রাধা ও সখীদের অভিসার, রাধা ও কৃষ্ণের সাক্ষাৎ ও মান-অভিমান, ভঙ্গীপারেং, রাধার কৃষ্ণ-সমর্পণ, যুগলরূপ প্রার্থনা এবং আরতি ইত্যাদি।
যদিও সেটি একটি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, কিন্তু তার নৃত্যশৈলী বরাবর সব ধর্ম ও জাতের মানুষকে আকর্ষণ করেছে।পুলিশ প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মনিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজন ছাড়াও সকল ধর্মেম মানুষ ভিড় করছে মণ্ডপগুলোতে।
কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুরের শিববাজার উন্মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে বেলা ১টা থেকে শুরু হয় গোষ্ঠলীলা বা রাখাল নৃত্য। রাত ১১টায় জোড়া মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে রাসের মূল প্রাণ ।
আপনার মতামত লিখুন :