পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় গঙ্গাস্নান বা পূন্যস্নানে মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে রাস উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। শনিবার ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে জাগতিক সকল পাপ মোচনের আশায় সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে এ গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করেন সনাতনীরা। স্নানের আগে মোমবাতি, আগরবাতি, বেলপাতা, ফুল, দুর্বা, হরতকি, ডাব, কলা, তেল ও সিঁদুর সমুদ্রের জলে অর্পণ করেন হিন্দু ধর্মালম্বী নারীরা। এসময় উলুধ্বনি ও মন্ত্রপাঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সৈকত। পরে শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে ১৭ জোড়া যুগল প্রীতিমা দর্শন করেন ভক্তরা। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কুয়াকাটায় রাস উৎসব শেষ হলেও কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমে এ উৎসব চলবে ৫ দিন। আগতদের নিরাপত্তায় থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
কুয়াকাটা সৈকতে শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক ইন্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন মণ্ডল জানান, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই দেশে সবাই মিলে একটি সুন্দর লোকজ সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলেছে, যা আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। আমাদের এই মন্দিরের পাশেই একটি মসজিদও রয়েছে, তারা আমাদের এই আয়োজনে অনেক সহযোগীতা করেছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মো. রবিউল ইসলাম বলেন, রাস উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন আয়োজন হাতে নিয়েছি। এবারের আয়োজন প্রত্যেকটা পুণ্যার্থী ও দর্শণার্থী নিরবিচ্ছিন্নভাবে আয়োজন উদযাপন করেছে। আমরা পুরোপুরি এই আয়োজন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিরাপত্তায় কঠোর ছিলাম আমরা। আমাদের প্রায় চার শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত আছে। আজকে সকালে রাসমেলার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপত্তা বহাল রাখব।
আপনার মতামত লিখুন :