শীত মৌসুম সামনে রেখে প্রযুক্তির ব্যবহারে বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষে রেকর্ড গড়েছেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার সাড়ে ৩৬ হাজার কৃষক। চলতি মৌসুমে উপজেলার এক হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির আবাদ হচ্ছে। লাউ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সিম, কচু, ডাটা, মুলা, বেগুনসহ নানা জাতের শীতকালীন সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনেছেন কৃষক পরিবার।
ধুনট উপজেলায় শীতকালে সবচেয়ে বেশি সবজি আবাদ হয়। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজে সবুজে ভরে উঠছে। অনুকূল আবহাওয়ায় সবজির ভালো উৎপাদন ও বাজারে দাম ভালো পেয়ে লাভবান হন চাষিরা। তারা প্রতিদিন ভোরে কোদাল, নিড়ানি, বালতি, স্প্রে মেশিনসহ পরিচর্যা সামগ্রী নিয়ে মাঠে ছুটছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কাজ করে বাড়ি ফিরছেন। চাষাবাদ ঘিরে অন্তত ২০ হাজার মানুষের বাড়তি কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেকে প্রতিদিন ৪শ-৫শ টাকা মজুরির বিনিময়ে সবজির জমিতে কাজ করছেন।
কৃষি বিভাগ সুত্র জানায়, সবজি চাষে ব্যস্ত ধুনট উপজেলার ৩৬ হাজার ৩২৫ জন কৃষক। চলতি বছর এক হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন জাতের শাক-সবজির আবাদ করা হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩০ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টরে গড়ে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১ মেট্রিকটন। ৩৬ হাজার ১৫৫ মেট্রিকটন সবজি উৎপাদন হলে যেখান থেকে ১৫০ কোটি টাকার সবজি পাবেন বলে কৃষকরা আশা করছেন। শাক-সবজি, বীজ উৎপাদন এবং চাষে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত পরামর্শ, সার, বীজ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।
ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি শাক-সবজি চাষে কৃষকদের উৎসাহ এবং পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শীতের সবজিতে দাম ভালো পাওয়া যায়। এ বছর শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :