সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করণের বিষয়টি অযুক্তিক বলে দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার ৫ই নভেম্বর দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুরো পর্যটন মৌসুমের মাঝে কোন সময় রাত্রি যাপন আবার কোন সময়ে নয় এ ধরনের বৈষম্য দেশের পর্যটন শিল্পে নীতি বাচক প্রভাব পড়বে বলে দাবি করেন তারা। বক্তারা বলেন, সমুদ্র বিশেষজ্ঞ মহলের কোন ধরনের সমীক্ষা ছাড়াই পর্যটক সীমিত করার জন্য পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের একপেশে সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দিন বাহারি, প্রফেসর আনোয়ারুল হক, প্রফেসর মকবুল আহমদ, ট্যুর অপারেটর অব কক্সবাজার টুয়াকের উপদেষ্টা মফিজুর রহমান প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে, ইনানী সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে তৈরি করা জেটি অপসারণ করার দাবি জানানো হয়। একই সাথে মহেশখালী দ্বীপসহ জেলায় পর্যটনের নতুন স্পট সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।
প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী বলেন, কক্সবাজার জেলায় নতুন নতুন পর্যটন স্পট সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন অনেক স্পট রয়েছে, সেগুলোকে পর্যটক টানার উদ্যোগ নিলে এখাতে রাজস্ব আয় বাড়বে।
পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা ড.রেজোয়ানা সিদ্দিককে হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলাবাসির উপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেয়া হলে বিস্ফোরণ হবে। পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন পূন: বিবেচনা করার দাবী তুলেন।
আপনার মতামত লিখুন :