ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
আন্দোলনে নিহত

বগুড়ায় রিপনের পর রিকশাচালক মান্নানের মরদেহ উত্তোলন

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৭:২৭ পিএম

বগুড়ায় রিপনের পর রিকশাচালক মান্নানের মরদেহ উত্তোলন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার পতনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে বগুড়ায় নিহতদের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশে কবর থেকে দুইজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় দাফন করা হবে।

সোমবার সকালে বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া বানদিঘী পূর্বপাড়া এলাকার কবর থেকে রিকশাচালক আব্দুল মান্নানের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এর আগে রোববার এরুলিয়া বানদিঘী ফকিরপাড়ার কবর থেকে রিপন ফকিরের মরদেহ উত্তোলন করে।  

গত ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে বগুড়া শহরের ২ নং রেল ঘুমটি ঝাউতলা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রিপন। একইদিন শহরের প্রধান সড়কে বড়গোলা ট্রাফিক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন রিকশাচালক আব্দুল মান্নান।

এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিয়ান মুনসীফ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফের উপস্থিতিতে তাদের মরদেহ উত্তোলন করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। 

বগুড়ার কোর্ট পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, আন্দোলনে নিহত আব্দুল মান্নানের বাড়ি বগুড়া সদরের এরুলিয়া বানদীঘি পূর্বপাড়া। তিনি রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিহত হওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ছেলে রানা হামিদ।

২৮ অক্টোবর বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহগুলো কবর থেকে উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বগুড়াকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 

আরবি/জেডআর

Link copied!