ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সড়কের সংস্কার কাজ ফেলে পালিয়ে গেছেন ঠিকাদার। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গফরগাঁও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০২৩-২০২৪ইং অর্থ বছরের উপজেলার এডিপি, উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন তহবিলের হতে ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গত ২৭মে দরপত্র আহ্বান করে। প্রকল্প গুলোর বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় ধরা হয় তিন কোটি বিশ লাখ টাকা।দরপত্র আহবানের পর ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের রাস্তার সংস্কার কাজ ভাগ বাটোয়ারা করে নেয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ পন্থি ঠিকাদার।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বাসুটিয়া ইটভাটা হতে চক উথুরী উজ্জল মৌলার দোকান পর্যন্ত প্রায় তিন শ` মিটার রাস্তার এইচবিবি করণ ২০ লাখ টাকা টেন্ডার আহবান করা হয়।এতে ঠিকাদার নিযুক্ত হয় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সানিন। তিন শ` মিটার রাস্তার মধ্যে কাজ করেছে অর্ধেক। যে টুকু হয়েছে তাতেও ব্যবহার করা হয়েছে নিন্মমানের ইট।
স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তড়িঘড়ি করে রাতে অন্ধকারে এই টুকু কাজ করেছে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাস্তা নির্মাণ কাজের ঠিকাদার ছাত্রলীগ নেতা এখন এলাকা ছাড়া।তাই রাস্তার কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাসুটিয়া গ্রামের সুজন মিয়া বলেন,আমাদের এলাকার মানুষের দীর্ষ দিনের দাবি ছিল বসুটিয়া ইটভাটা হতে চক উথুরী পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের। রাস্তাটির অর্ধেক সংস্কার কাজ হয়েছে।বাকী টুকু অবহেলায় পড়ে রয়েছে। ফলে গর্ত খানাখন্দে কারণে এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্থানীয় মুদি দোকানদার বাবুল মিয়া জানান, ঠিকাদার প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের শুরুতেই নানা অনিয়মের আশ্রায় নেয়। কাজ এখনও শেষ হয়নি।ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে রাস্তা দেবে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। খসে পড়ছে ইট। কাজ ফেলে চলে যাওয়ার বিষয়ে জানতে ঠিকাদার মেহেদী হাসান সানিনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। অপর দিকে মশাখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মুখী শাহ মিসকিন মাজার মোড় হতে শাহ মিসকিন মাদ্রাসা রাস্তার এইচবিবি করণ নির্মাণে ২০লাখ টাকা ব্যায়ে দরপত্র আহবান করা হয়। ঠিকাদার পলাতক থাকায় এখনও রাস্তার কাজ শুরু হয়নি। ফলে কাদা পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকার মানুষের।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাহাবুব মোর্শেদ বলেন, ১৭ প্রকলের মধ্যে বেশ কয়েকটার কাজ শেষ হয়েছে। আবার কোনটার অর্ধেক কাজ হয়েছে। রাস্তা নির্মাণ কাজের ঠিকাদারা আওয়ামী লীগে লোকজন ছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটের কারণে উনারা (ঠিকাদর) এলাকা ছাড়া। কাজ গুলো দ্রুত সম্পন্ন করা জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :