শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আফরোজা লুনা, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম

গাইবান্ধা পৌর এলাকায় ময়লার স্তূপ, দুর্গন্ধে চলা দায়

আফরোজা লুনা, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম

গাইবান্ধা পৌর এলাকায় ময়লার স্তূপ, দুর্গন্ধে চলা দায়

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ময়লা আবর্জনা ও বর্জ ফেলানোর জায়গা না থাকায় গাইবান্ধা পৌর এলাকায় রাস্তা ও আবাসিক এলাকায় ময়লার স্তূপ জমেছে। এতে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় হাঁটা চলা ও এমনকি বাড়িতে থাকাও দু:সাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৌরসভার মেয়র পালিয়ে যাওয়ায় এসমস্যা প্রকট আকার ধারন করেছে। গাইবান্ধা পৌর সভার ৯ টি ওয়ার্ডে কমপক্ষে লক্ষাধীক পরিবারের বসবাস । দীর্ঘদিন গাইবান্ধা পৌরবাসীর আন্দোলনের মুখে তৎকালীন পৌর মেয়র শামসুল আলমের সময়ে পৌর সভার ৭ নং ওয়ার্ডের খাস জমি গুয়ের ভিটা নামক আবাসিক এলাকা সংলগ্ন এলাকায় পৌর বর্জ ফেলানোর নির্ধারিত জায়গা করা করা হয়। এজন্য লোকবলও নিয়োগ দেয়া হয়। পরিকল্পনা করা হয় বর্জ ফেলানোর স্থান থেকে গ্যাস উৎপাদন করে পৌর এলাকায় সরবরাহ করা হবে। কিন্তু পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ভোটের আগে এসব বলে করে শুধু ভোট সংগ্রহ করেছেন মানুষের কাছ থেকে। চারপাশে প্রাচীর দেয়া গুয়ের ভিটা নামক স্থানে বর্জ ফেলানো শুরু হয়। দিনে দিনে ময়লার স্তূপ জমে পাহাড় সমান ময়না জমে যায়। জায়গা না থাকলেও এলাকার মানুষের কথা চিন্তা না করে পৌর মেয়র জোরপুর্বক সেখানেই অবর্জনার স্তূপ গড়ে তোলেন। পৌর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব ময়লা থেকে জ্বালানী গ্যাস তৈরী করে বিক্রি করার সরঞ্জামও স্থাপন করা হয়। কিন্তু গ্যাস বিক্রিতো দুরের কথা তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে এলাকায়। তারপরও এলাকার লোকজনের বাঁধার মুখেও সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলানো হয়। ফলে দুর্গন্ধের পরিমান এতো তীব্র হতে থাকে যে এলাকায় বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। দিন রাত দুর্গন্ধে মানুষ অবস্থান করাতো দুরের কথা ঘরে বসে ভাত খাবারও অবস্থা থাকেনা । দিনভর ছোট বড় মাছি মশা ময়লার ওই ভাগার থেকে বাহিরের লোকালয়ে ছেয়ে যায় । মশা মাছি উড়ে এসে গায়ে, ঘরের ভেতর ঢুকে, খাবার থালায় ঝাকে ঝাড়ে উড়ে আসে । এ কারনে ওই এলাকার অন্তত ৬ শতাধিক পরিবার পৌরসভার ময়লা ফেলানোর ভাগার যাতে স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে করা যায় সেজন্য তারা ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানায়। গুয়ের ভিটার ময়লার ভাগার এর দুর্গন্ধে ও মশা মাছি ও পোকা মাকড়ের কারনে এলাকা মানষের মধ্যে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ে । সারা বছরেও অনেকের অসুখ বিশুখ লেগেই থাকে।

এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজনের বাঁধার মুখে গেলো মাস থেকে সেখানে আর ময়লা আবর্জনা ফেলতে দেয়া হয় না । ফলে পৌর সভার বিভিন্ন এলাকার রাস্তার পাশে, প্রধান সড়কের পাশে অথবা বাড়ির পাশে ময়লা ফেলাতে বাধ্য হচ্ছে পৌরবাসী । আর এই ময়লা গুলো ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্থানে । সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে গোটা পৌর এলাকায়। গাইবান্ধা পৌর এলাকার ভি এইড রোড, মাষ্টারপাড়া, মধ্যপাড়া, মুন্সিপাড়া, পুর্বপাড়া, সার্কুলার রোড, পশ্চিমপাড়া, মাষ্টারপাড়া, স্কুল লেন, খানকা শরীফ এলাকার বিভিন্ন রাস্তার পাশে ময়লার স্তুপ জমে আছে দীর্ঘদিন ধরে । অবস্থা ভয়াবহ । এসব রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে নাক বন্ধ করে চলাচল করতে হচ্ছে।

পৌর সভায় লোকবল থাকলেও অভিভাবকহীন হয়ে পড়ায় এ সমস্যা প্রকট আকার ধারন করেছে। তবে কয়েকটি এলাকার মানুষ নিজেরাই রাস্তার পাশে বর্জ ফেলা বন্ধ করে দিয়ে সেখানে গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করেছে। পৌর মেয়র পালিয়ে থাকায় গাইবান্ধায় নিয়োগ দেয়া প্রশাসক ।

এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক মো: শরিফুল ইসলাম রাস্তার পাশে ময়লা সরানোর নির্দেশ দিয়ে বলেন, আসলে পৌর এলাকায় ময়লা ফেলানোর কোন জায়গা নাই । আমরা চেষ্টা করছি যে ওয়ার্ডের ময়লা সেই ওয়ার্ডে ফেলানোর জন্য নির্ধারিত জায়গা দিতে হবে কাউন্সিলারদের । কারন পৌর সভার নির্ধাতি জায়গায় ময়লার স্তূপ পরিবেশ দুষন করে এলাকাবাসীকে সমস্যায় ফেলেছে। বিকল্প পথ গ্রহন ছাড়া সমস্যার সমাধান করা কঠিন।

আরবি/জেডআর

Link copied!