শেরপুরের নকলায় নিখোঁজের ১২ ঘন্টা পরে পুকুর থেকে ফাতেমা আক্তার জুঁই (৫) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের বেপারী পাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত জুঁই ওই এলাকার জুলহাস উদ্দিনের ৩ সন্তানের মধ্যে একমাত্র মেয়ে ও সবার ছোট।
নিহতের বাবা জুলহাস উদ্দিন জানান, জুঁইয়ের মা রহিমা বেগম জীবিকার তাগিদে ঢাকায় এক গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। বুধবার রাতে জুঁই তার বাবার সাথে ঘুমাতে যায়। রাত ৯ টার দিকে সে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ওই রাতে জুঁইকে পাওয়া যায়না। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়িরের পাশে এক পুকুরে জুঁইয়ের মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
শীতের রাতে ৯টার সময় ৫ বছর বয়সী শিশু ঘরের বাহিরে যাওয়া ও বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে মৃত্যু হওয়া এবং ময়না তদন্তের বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ বাধা প্রদান! এমন আনাকাঙিাখত ঘটনার বিষয়ে এলাকায় নানান গুনজন চলছে; লোকমুখে চলছে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, শিশু জুঁইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এতরাতে ৫ বছরের শিশু ঘর থেকে নিখোঁজ হওয়া ও পুকুরে পড়ে মৃত্যুবরণ করায় এলাকার জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যচ্ছেনা। তবে এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :