ঢাকা রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪
মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র

১৭ কোটি টাকার তার চুরি, এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ০১:১০ পিএম

১৭ কোটি টাকার তার চুরি, এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৭ কোটি টাকার ৫৬.৯৬ টন কপার তার আত্মসাতের ঘটনায় কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (সিপিজিসিবিএল) এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আহসানুল কবির পলাশ।

এঘটনায় আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও সিপিজিসিবিএল-এর সহকারী নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক আলফাজ উদ্দিন এবং চট্টগ্রামভিত্তিক কোম্পানি ইকবাল মেরিনের মালিক মোহাম্মদ ইকবাল, কোরিয়ান কোম্পানি পসকো ই অ্যান্ড সি-এর সিকিউরিটি ইনচার্জ মোঃ রায়হান, নিজাম উদ্দিন ও মোঃ সেলিম নামের ইকবাল মেরিনের দুই কর্মচারীকে মামলায় আসামি করা হয়। তদন্তে অন্যদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের নামও মামলায় যুক্ত করা হবে বলে এজাহারে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গেল ৩১ আগস্ট নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড যৌথ অভিযানে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৭ কোটি টাকা মূল্যের ৫৬.৯৬ টন কপার তার পাচারের চেষ্টাকালে এ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে আটক করা হয়। নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ছৈয়দ আহমেদ শাকিব এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, মাতারবাড়ী প্ল্যান্ট পরিচালনাকারী কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দেন।

ঘটনার পরদিন সিপিজিসিবিএল-এর সহকারী নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক মিজানুল হাসান, আজাদ ও অন্যান্য আসামি এবং ৭-৮ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

পরে ২ সেপ্টেম্বর মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেদিন দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মহেশখালী থানায় জিডির পর মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করায় এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) মামলা দায়েরের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সাধারণ ডায়েরি অনুযায়ী- সিপিজিসিবিএলের সাবেক এমডি আজাদ, নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা ও নকশা) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট দ্বারা তামার তারের দুটি কন্টেইনার ইকবাল মেরিনে পাচার করা হয়। মতিউর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী (ডিজাইন-১) কামরুল ইসলাম, সিপিজিসিবিএলের সহকারী নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক আলফাজ উদ্দিন এবং পসকো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ রায়হানের সহায়তায় করে এসব পাচার কাজে।

আরবি/এফআই

Link copied!