পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা সেখমাঠিয়া ইউনিয়নের মৌখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ টেন্ডার ছাড়াই দুই শিক্ষকদের যোগসাজসে কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরদ্ধে।
সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির সীমানার বিতরে থাকা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে কথিত জমি দাতার পরিবার। স্থানীয়দের বাধার কারনে একটি গাছ কাটতে পারে। কাটা গাছটির কিছু অংশ নিয়েও গেছে তারা। এর আগেও অভিযুক্ত পরিবারের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ রয়েছে। তারা স্থানীয় আ’লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারনে ক্ষমতা দাপট দেখিয়ে গাছ কাটতো।
অভিযোগ সূত্রের জানা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অমৃত লাল বিশ্বাশ ও নীহার রঞ্জন মন্ডলের যোগসাজসে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রদীপ কুমার হালদার। ২ বছর পূর্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অর্ধলক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্তরা জানান, জমি ও গাছগুলো বিদ্যালয়ের ছিলো। তবে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানের সময় তাদের জমিতে নির্মাণ করা হয়। সেই জমির বদলে আমাকে স্কুলের পাশের জমি দেয়। আমি সেখানে থাকা গাছ কেটেছি।
ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, বিদ্যালয়ের জমির বিতরে গাছগুলো রয়েছে। তাদের বিদ্যালয়ের বিতরে থাকা জমিবাড়ির বিতর থেকে খাওয়ানো হয়। এর আগেও তারা এমনটি করেছে ।
বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এড. তাপস ভক্ত জানান, গাছগুলো লাগানোর সময় আমি সভাপতি ছিলাম। হঠাৎ করে কি ভাবে জমিসহ গাছ তাদের হয়ে গেলো বুঝতে পারলম না।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক অমৃত লাল বিশ্বাস বলেন, স্কুলের ভবনটির বিতরের ১২ শতক জমি আছে। তার পরিবর্তে গাছ থাকা জমিটি বদল করে দেওয়া হয়েছে। পূর্বের কমিটির মাধ্যমে আওজ-বদল করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কর্মকার বলেন, মৌখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। গাছ স্কুলের জিম্মায় আছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ বলেন, অভিযোগ পলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :