কক্সবাজার টেকনাফের সাবরাং ইউপির রুহুল্লার ডেবা এলাকা থেকে অপহরণের ১৫ দিন পর তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছে ৭ম শ্রেণির ছাত্র জুসেফ। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাত ১০টায় সে বাড়িতে ফিরে আসে।
স্কুলছাত্র জুসেফ ডেবা এলাকার টমটম চালক ছৈয়দ আলম ও আনোয়ারা বেগমের তৃতীয় ছেলে। সে পরিষদ মডেল একাডেমির ৭ম শ্রেণির ছাত্র।
জুসেফের মা আনোয়ারা বেগম জানান, গত ১৯ অক্টোবর সকাল ৮টায় তার বন্ধু আবু বক্করের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে বের হয়ে রাতে আর ফিরে আসেনি। ওই সময় আমি কাছে এবং দূরের আত্মীয়-স্বজন ও জুসেফের বন্ধুদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে তার কোন সন্ধান পাইনি। দু’দিন পর একটি রবি নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে বলে যে, তোমার ছেলে আমার হেফাজতে আছে, পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে এসে তোমার ছেলেকে নিয়ে যাও।
অপহরণকারী মুজিব টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের রাজারছড়া এক নম্বর ওয়ার্ডের জাফর আলম ও মা গুলবাহারের ছেলে।
পরে খোঁজ নিয়ে জানেতে পারলাম মুজিব আমার প্রতিবেশী এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। সে সুবাদে মুজিব আমার ছেলেকে মালয়েশিয়া নেওয়ার লোভ দেখিযে এলাকা থেকে নিয়ে গিয়ে দালালের কাছে বিক্রি করে দেয়।
জুসেফের বাবা ছৈয়দ আলম জানান, আমি একজন টমটম চালক, প্রতিবেশীর জামাই মুজিব আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলেটাকে লোভ দেখিয়ে নিয়ে মালয়েশিয়ার দালালের হাতে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়। নিজের গাড়ি ও বউয়ের অলংকার বিক্রি করে তাদের টাকা দিয়ে অনেক কষ্টে ছেলেকে বাড়ি নিয়ে আসলাম।
এ বিষযে অভিযুক্ত মুজিবের মোবাইল ফেনে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় স্কুরছাত্র জুসেফের পরিবার থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :