বরগুনার বেতাগী উপজেলার বলইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইলিয়াসুর রহমান কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণের স্থানীয় শালিশ মীমাংশায় ৩ লাখ টাকায় দফারফার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার সাথে জড়িত সহকারি শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে গেলে ধর্ষণের শিকার হওয়া স্থানীয় শালিশ মীমাংশায় সমাধান হয়েছে। এতে ভিকটিমের পরিবার ও এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বেতাগী উপজেলার বলইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী গতকাল সোমবার সকালে একই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারি শিক্ষক ইলিয়াসুর রহমানের বাসা বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায়। এসময় অন্য কোন শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে না আসায় এই সুযোগে একা পেয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি গতকাল সোমবার জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সোমবার দুপুরে বলইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক বেশি স্থানীয় জনতা জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ের স্থানীয়রা এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে মীমাংশায় বসেন। পরে শালিশ মীমাংশায় ভুক্তভোগি পরিবারকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ধর্ষণের বিচার ৩ লাখ টাকা মুর্হূর্তের মধ্যে এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগি ছাত্রীর মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, `আমরা গরিব এবং হিন্দু এই বলে কি বিচার পাবো না। মা হয়ে এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।`
এ বিষয় অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, `ভুক্তভোগি শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে আসছে এটা সত্য। তবে ধর্ষণের ঘটনা সত্য না। `
বলইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমবার রাত ৮ টা ৫৪ মিনিটে মুঠো ফোনে বলেন, `সন্ধ্যার পরে মেয়ে পক্ষ আমার কাছে এসেছে। আগামীকাল মঙ্গল সকালে অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষক ইলিয়াছ হোসেনকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসতে বলেছি এবং কথা শুনে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয় বেতাগী থানার তদন্ত কর্মকর্তা ফরুক হোসেন মুঠোফোনে বলেন,` বেতাগী থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে এবং তদন্তে সত্যতা প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।`
আপনার মতামত লিখুন :